আদালতের 'আমফান রায়'কে স্বাগত মুকুলের, কেন্দ্রকে পাল্টা তোপ কাকলির

শাসক-বিরোধী তরজা চরমে

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Dec 1, 2020, 07:20 PM IST
আদালতের 'আমফান রায়'কে স্বাগত মুকুলের, কেন্দ্রকে পাল্টা তোপ কাকলির

নিজস্ব প্রতিবেদন:  আমফান ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শোরগোল কম হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, 'আদালতের নির্দেশে এবার আমফানে ক্ষয়-ক্ষতি, প্রাপ্ত অনুদান ও মোট ব্যয়ের তদন্ত করবে ক্যাগ। ফলে সব হিসেব স্বচ্ছ হবে যাবে।' অনুদান ইস্যুতে কেন্দ্রকে পাল্টা তোপ তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারেরও।

আরও পড়ুন: এরা গরিব, কেউ ১-২ হাজার টাকা নিয়েছে, ফেরত দিয়েছে, আমফান-ত্রাণে মমতা

শেষ কবে কলকাতায় ঝড়ের এমন তাণ্ডব দেখা গিয়েছিল! মে মাসের শেষের দিকে ঘুর্ণিঝড় আমফানের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা রাজ্য। আকাশ পথে ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। কেন্দ্র থেকে সাহায্য যেমন এসেছিল, তেমনি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু সেই টাকা গেল কোথায়? রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই তৃণমূল নেতা-পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুর্গতদের দাবি, প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও ত্রাণ মেলেনি। অথচ ঝড়ে যাঁদের পাকা বাড়ির তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি, তাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন! মামলা গড়ায় আদালতেও। বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার আমফান ত্রাণে 'দুর্নীতি'র তদন্ত করে তিনমাসের মধ্যে CAG-কে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। এই রায়কে স্বাগত জানালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। 

আরও পড়ুন: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-তহ্বা সিদ্দিকি বৈঠক, একগুচ্ছ দাবি পেশ করলেন পীরজাদা

এদিকে আবার আমফান ত্রাণে 'দুর্নীতি' হাইকোর্টের রায়ের পর ফের অনুদান ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াল তৃণমূলও। দলের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, 'মাঝে মাঝে ছেলে ভোলানোর মতো রাজ্য়কে এক হাজার কিংবা দু'হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়। আর কেন্দ্রের তরফে প্রচার করা হয়, পশ্চিমবঙ্গকে কত টাকা দিলাম! প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকা কোথা থেকে আসে, কোথায় যায়? এই অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই টাকা কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নয়। জিএসটি বাবদ করও রাজ্যগুলি সংগ্রহ করে দেয়।'

.