শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আগুন

বহরমপুরের পর কলকাতা। এবার আগুন লাগল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে। ফায়ার এক্সটিংগুইসার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন কর্মীরাই। ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকলের ছটি ইঞ্জিন। এসি মেশিনের শট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।

Updated By: Aug 29, 2016, 06:27 PM IST
শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আগুন

ওয়েব ডেস্ক: বহরমপুরের পর কলকাতা। এবার আগুন লাগল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে। ফায়ার এক্সটিংগুইসার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন কর্মীরাই। ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকলের ছটি ইঞ্জিন। এসি মেশিনের শট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।

দুদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল আশঙ্কাটা। সত্যি হল সোমবার বেলায়। মুর্শিদাবাদের আতঙ্ক কয়েক মুহুর্তের জন্য ফিরল কলকাতায় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। আগুন লাগল হাসপাতালের দোতলায়।

আরও পড়ুন আগামীকাল থেকেই ক্লাস শুরু হচ্ছে জয়পুরিয়া কলেজে

ঘড়িতে তখন পৌনে বারোটা। ইনডোর-আউটডোরে রোগীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। আচমকাই দোতলায় লাইব্রেরির পাশে কনফারেন্স রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহুর্তের মধ্যে ছড়ায় আতঙ্ক। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকলের ছটি ইঞ্জিন। কিন্তু ততক্ষণে ফায়ার এক্সটিংগুইসার দিয়ে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছেন কর্মীরাই। ঘরের ভিতরের ফলস সিলিং ভেঙে শুরু হয় আগুনের উত্‍স সন্ধান। প্রাথমিক অনুমান, এসি মেশিনের শট সার্কিট থেকেই আগুন।

ছোট আগুন তাই সহজেই সামাল দেওয়া গেছে পরিস্থিতি। কিন্তু, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কি? হাসপাতাল জুড়ে ফায়ার এক্সটিংগুইসারের সংখ্যায় খামতি ছিল না। রয়েছে বালি ভর্তি বালতিও। কিন্তু, স্প্রিঙ্কলার বা রিজার্ভারের মতো  অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থায় খামতি রয়েছে মানছেন হাসপাতাল সুপারও।

আরও পড়ুন আগুন লাগলে সামাল দিতে পারবে তো শহরের নামজাদা সরকারি হাসপাতালগুলি?

আমরির পর আগুন মোকাবিলায় এক গুচ্ছ নির্দেশিকার জারি করে স্বাস্থ্য ভবন।  তারপর কেটে গেছে পাঁচ-পাঁচটা বছর। শহর থেকে জেলা হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণ যে সেই তিমিরেই দুদিনের ব্যবধানে তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বহরমপুর জেলা হাসপাতাল ও শম্ভুনাথ পণ্ডিত।

.