টোকা মারছেন সব দরজায়, ঠাঁই খুঁজছেন মুকুল, এ বার রেজ্জাক মোল্লাকে ফোন

এ বার রেজ্জাক মোল্লাকে ফোন। ফোন করে দেখা করতে চাইলেন মুকুল রায়। একদিকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ। অন্যদিকে, ফুরফুরা শরিফে ঘনঘন যাতায়াত, রেজ্জাক মোল্লার দিকে বন্ধুত্বের হাত। গেরুয়া শিবিরে আশ্রয় প্রার্থী মুকুল এখন সংখ্যালঘু ভোটের দিকেও হাত বাড়াতে চাইছেন। দিশাহারা অবস্থায় বাজিয়ে দেখতে চাইছেন সকলকে। টোকা মারছেন সব দরজায়। ঠাঁই খুঁজছেন মুকুল।

Updated By: Mar 10, 2015, 07:11 PM IST
টোকা মারছেন সব দরজায়,  ঠাঁই খুঁজছেন মুকুল,  এ বার রেজ্জাক মোল্লাকে ফোন

ওয়েব ডেস্ক: এ বার রেজ্জাক মোল্লাকে ফোন। ফোন করে দেখা করতে চাইলেন মুকুল রায়। একদিকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ। অন্যদিকে, ফুরফুরা শরিফে ঘনঘন যাতায়াত, রেজ্জাক মোল্লার দিকে বন্ধুত্বের হাত। গেরুয়া শিবিরে আশ্রয় প্রার্থী মুকুল এখন সংখ্যালঘু ভোটের দিকেও হাত বাড়াতে চাইছেন। দিশাহারা অবস্থায় বাজিয়ে দেখতে চাইছেন সকলকে। টোকা মারছেন সব দরজায়। ঠাঁই খুঁজছেন মুকুল।

নাম্বার টু হয়ে দিব্যি ছিলেন। হোঁচট খেলেন সিবিআই-ডাকে। স্টেডি ব্যাটে জেরা সামলে বেরোলেন বটে, কিন্তু দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গেল কয়েক যোজন। জেরায় কী বললেন, দলের কাছে তা গোপন রাখায় তৈরি হল অবিশ্বাস। তৃণমূলে শুরু হল মুকুল হঠাও অভিযান। মুহূর্তে মগডাল থেকে মাটিতে। দলছুট মুকুল এখন নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া।

গোপনে এতদিন যাঁরা ঘনঘন দাদার খোঁজ রাখছিলেন তাঁরা এখন ধাঁ। মুকুলকে ঘিরে এখনও যাঁরা ভিড় জমাচ্ছেন এলাকায় তাঁদের পরিচিতি দিদির ভাই নামেই। তাঁরা নিজেরাও জানেন, সব ছেড়েছুড়ে দাদার ভাই হয়ে গেলে পাড়ার লোকেও আর ফিরে তাকাবে না। তাই পথ খুঁজছেন রায়বাহাদুর।

খোদ মোদীর সঙ্গেও কথা বলা সারা। কিন্তু, সাদা পাঞ্জাবিতে যে সারদার কালি। রাজ্য বিজেপি চায় না দলে আসুন মুকুল। মোদী-মমতা বৈঠকের পর যদি বরফ গলতে শুরু করে তা হলে মোদীর ডায়েরি থেকে এই রাউন্ডে মুছে যাবে তাঁর নাম। তখন যে ফের ভাগ মুকুল ভাগ, তা বুঝতে বাকি নেই মুকুলের।

রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের অধিকাংশই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দখলে। সেখানেও ছোঁ মারার চেষ্টা করছেন মুকুল। দলের সম্মার্জনী ধেয়ে আসার পর তিন তিন বার ঘুরে এসেছেন ফুরফুরা শরিফ। মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অনেক কাজ যে এখনও বাকি তা পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকিকে পাশে বসিয়েই বলেছেন তিনি। রেজ্জাক মোল্লার দিকেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুকুল।

মুকুল রায়কে দলে নিতে উত্‍‍সাহী নয় কেউ। মমতার হাত ছাড়া একার ক্ষমতায় অন্য দল ভাঙানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব। আর তৃণমূল ভাঙাটাকে তো এখন অনেকটা পঙ্গুর গিরি লঙ্ঘনের মতো দেখাচ্ছে। ফলে, দলছুট দু-একজন নেতার দিকে তাকিয়ে কোনওরকমে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন মুকুল। হালে পানি নেই। কোথাও থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া নেই। দিশাহারা মুকুল এখন সবদিকেই ইঁট পেতে রাখছেন। ছাই দেখলেই উড়িয়ে দেখতে চাইছেন। যদি মিলে যায় অমূল্য রতন!

.