সাসপেন্ড করা হল পুলিসকর্তা এসএমএইচ মির্জাকে

একেই নারদ মামলায় চাপের মুখে রয়েছেন। এবার অনৈতিক ভাবে অধস্তন কর্মীকে সাসপেন্ড করার অভিযোগে নিজেই সাসপেন্ড হয়ে গেলেন পুলিস আধিকারিক এসএমএইচ মির্জা। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিল নবান্ন।

Updated By: Nov 9, 2017, 09:55 PM IST
সাসপেন্ড করা হল পুলিসকর্তা এসএমএইচ মির্জাকে

নিজস্ব প্রতিনিধি : একেই নারদ মামলায় চাপের মুখে রয়েছেন। এবার অনৈতিক ভাবে অধস্তন কর্মীকে সাসপেন্ড করার অভিযোগে নিজেই সাসপেন্ড হয়ে গেলেন পুলিস আধিকারিক এসএমএইচ মির্জা। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিল নবান্ন।

চলতি বছর মার্চ মাসে রাজ্য পুলিসের ব্যারাকপুর স্পেশাল স্ট্রাইক ফোর্সের এসআই সৌভাগ্য দাসকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করেন কম্যান্ডিং অফিসার এসএমএইচ মির্জা। এরপরই ১২ মার্চ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাঁতী হন সৌভাগ্য। তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অনৈতিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর স্ত্রী। এমনকী আত্মহত্যার জন্য মির্জাকেই দায়ী করে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সৌভাগ্য দাসের স্ত্রী।

আরও পড়ুন- মুকুলের গলায় সিবিআই-ইডির প্রতি দরদ

সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রথমে শোকজ করা হয় বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিস সুপার তথা ব্যারাকপুর স্পেশাল স্ট্রাইক ফোর্সের কম্যান্ডার মির্জাকে। নবান্ন সূত্রে খবর, তাঁর দেওয়া শোকজের জবাবে খুশি নয় উপরমহল। তাই এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার আগে রুটিন মাফিক তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

এদিকে, তাঁর এই সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনায় এবার শুরু হয়েছে গুঞ্জন। মুকুল রায় ঘোনিষ্ঠ বলেই পরিচিত মির্জার বিরুদ্ধে নারদ মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে মুকুল রায় সরে যেতেই এবার প্ল্যান করেই মির্জার ওপর কোপ নেমে এল নবান্নের নির্দেশে।

.