সেবার আড়ালেই কলকাতাতে রমরম করে চলছে দেহ ব্যবসা

Updated By: Aug 22, 2015, 09:49 PM IST
সেবার আড়ালেই কলকাতাতে রমরম করে চলছে দেহ ব্যবসা

ব্যুরো:

কাগজে পেয়িংগেস্টের বিজ্ঞাপন দেখে উঠেছিলেন টালিগঞ্জের একটি বাড়িতে। ফাঁদে পড়লেন নারী পাচারচক্রের। দিনের পর দিন মদ খাইয়ে প্রায় বেঁহুশ করে চলত যৌন নির্যাতন। শেষমেষ এক সহৃদয় চিকিতসক পাশে দাঁড়ান নির্যাতিতার। চব্বিশ ঘণ্টার উদ্যোগে সক্রিয় প্রশাসন। গ্রেফতার নারী পাচার চক্রের মূল পান্ডা রুপসা ও তার সাঙ্গপাঙ্গ।অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্যত্র থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বাধীন ভাবে বাঁচার তাগিদে খুঁজছিলেন একটি আশ্রয়। তখনই কাগজে দেখতে পান পেয়িং গেস্টের  বিজ্ঞাপন।  বিজ্ঞাপন দেখে হাজির হন টালিগঞ্জের একটি বাড়িতে। কিন্তু সেখানেই ওঁত পেতে ছিল বিপদ।

টানা সাতদিন ঘরবন্দি। তাঁরসঙ্গে শারীরিক অত্যাচার,মারধর। মহিলা তখন বুঝতে পেরে গেছেন বাড়ি মালকিনের আসল ফন্দি।

চারদিকটা বড়ই অন্ধকার। কোথায় যাবেন? প্রশাসনের হোমড়া চোমড়া কর্তাদের একাংশের যে অবাধ আনাগোনা এখানে। তাই নীরবে মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে দিনের পর দিন।

ইঞ্জেকশন দিয়ে শরীরে ঢুকছে কড়া মাদক। ব্যাঘাত ঘটছিল কাস্টমার সার্ভিসিংয়ে। তাই চক্রের পান্ডাই একদিন নিয়ে যান চিকিতসার জন্য। সেখানকারই এক চিকিতসক পাশে দাঁড়ালেন নির্যাতিতার।

এরপরেই আমরা যোগাযোগ করি লালবাজারের সঙ্গে। লালবাজার থেকে যোগাযোগ করা হয় সোনারপুর থানা ও যাদবপুর থানার সঙ্গে । টালিগঞ্জের গোপন ডেরায় হানা দেয় পুলিস। গ্রেফতার  নারী পাচার চক্রের মূল পান্ডা রুপসা ওরফে রূপা  ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।  নয় তারিখ পর্যন্ত ধৃতদের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে  আলিপুর আদালত।

 

.