নিষ্ক্রিয় পুলিস, শহড় জুড়ে অব্যাহত ছিনতাই

কলকাতা পুলিসকে আরও অস্বস্তির মধ্যে ফেলে ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইবাজরা। চিনার পার্কের ছিনতাইয়ের ঘটনার রেশ না কাটতেই সোমবার গভীর রাতে কসবার কাটাপুকুরে কালীপুজোর মণ্ডপের সামনেই হানা দিল দুষ্কৃতীরা। মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ব্যবসায়ী প্রদীপ চক্রবর্তী এবং সঞ্জীব দত্তের ওপর চড়াও হয় তারা। ছিনিয়ে নেয় নগদ টাকা এবং দুটি সোনার চেন। দুষ্কৃতীদের চপারের আঘাতে আহত দুই ব্যবসায়ীকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সোমবার রাত তিনটের সময় কসবা কাটাপুকুর সর্বজনীন কালীপুজো মন্ডপের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন গাড়ি ব্যবসায়ী সঞ্জীব দত্ত।

Updated By: Nov 13, 2012, 09:49 PM IST

কলকাতা পুলিসকে আরও অস্বস্তির মধ্যে ফেলে ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইবাজরা। চিনার পার্কের ছিনতাইয়ের ঘটনার রেশ না কাটতেই সোমবার গভীর রাতে কসবার কাটাপুকুরে কালীপুজোর মণ্ডপের সামনেই হানা দিল দুষ্কৃতীরা। মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ব্যবসায়ী প্রদীপ চক্রবর্তী এবং সঞ্জীব দত্তের ওপর চড়াও হয় তারা। ছিনিয়ে নেয় নগদ টাকা এবং দুটি সোনার চেন। দুষ্কৃতীদের চপারের আঘাতে আহত দুই ব্যবসায়ীকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সোমবার রাত তিনটের সময় কসবা কাটাপুকুর সর্বজনীন কালীপুজো মন্ডপের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন গাড়ি ব্যবসায়ী সঞ্জীব দত্ত। তিনি প্রমোটিং ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। আচমকা জনা পাঁচেক সমাজবিরোধী সঞ্জীববাবুকে ঘিরে ধরে। তার গাড়ি ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। বাধা দিতে গেলে প্রথমে রিভলবারের বাঁট দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ছিনতাই করে নেওয়া হয় তাঁর মানিব্যাগ এবং সোনার চেন।  বন্ধু প্রদীপ চক্রবর্তী তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলে তার ওপরেও ঝাঁপিয়ে পড়ে দৃষ্কৃতীরা। চপারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয় তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রদীপ চক্রবর্তীকে ভর্তি করা হয় বাইপাস লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে।  অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের এক মন্ত্রী এলাকার প্রমোটিং-এ থাবা বসাতে চাইছেন। তার টার্গেটে রয়েছেন ছোটখাটো প্রমোটাররা। আরও অভিযোগ করা হয়েছে ওই মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় থাকা সমাজবিরোধীরাই সোমবার রাতে এই হামলা চালিয়েছে।
প্রমোটারি চক্রের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। সোমবার রাতের ঘটনার পর পুলিসি নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। অভিযোগ,  নির্দিষ্টভাবে পাঁচ হামলাকারীর  নাম জানানো হলেও পুলিস কাউকে গ্রেফতার করেনি । এমনকি স্থানীয় বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, তারা যেন নিজেরাই অভিযুক্তদের খুঁজে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে কিছুক্ষণের জন্য বন্ডেল রোড অবরোধ করেন  বাসিন্দারা।

 
 

.