তরুণ কর্মীরাই আমাকে ডুবিয়েছে, আক্ষেপ সুদীপ্তর

সংস্থার শিক্ষিত কর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতাই সারদা সাম্রাজ্যের পতনের কারণ। গোয়েন্দাদের কাছে জেরায় এমনই জানিয়েছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। পাশপাশি, রাজ্যে মিডিয়া টাইকুন হওয়ার সাধই যে তাঁকে ডুবিয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন সারদা কর্তা। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে জেরায় প্রতিদিনই সামনে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজ্য ছেড়ে পালানোর পর সুদীপ্ত সেন জানতে পারেন মিডল্যান্ড পার্কের অফিসের সামনে আমানতকারীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সারদার আধিকারিকের সেনস্যার জানান তিনি ফিরে এসে সব ঠিক করে দেবেন। সুদীপ্তকে জেরা করে  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে প্রায় পাঁচশো বিঘা জমির হদিস পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

Updated By: May 11, 2013, 06:28 PM IST

সংস্থার শিক্ষিত কর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতাই সারদা সাম্রাজ্যের পতনের কারণ। গোয়েন্দাদের কাছে জেরায় এমনই জানিয়েছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। পাশপাশি, রাজ্যে মিডিয়া টাইকুন হওয়ার সাধই যে তাঁকে ডুবিয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন সারদা কর্তা।ভিও-  সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে জেরায় প্রতিদিনই সামনে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজ্য ছেড়ে পালানোর পর সুদীপ্ত সেন জানতে পারেন মিডল্যান্ড পার্কের অফিসের সামনে আমানতকারীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সারদার আধিকারিকের সেনস্যার জানান তিনি ফিরে এসে সব ঠিক করে দেবেন। সুদীপ্তকে জেরা করে  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে প্রায় পাঁচশো বিঘা জমির হদিস পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
বিষ্ণুপুরের সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় পাঁচশো কোটি টাকা। এছাড়াও তাঁর বাকি বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় পাঁচশো কোটি টাকা।  এখনও পর্যন্ত সারদার চোদ্দ কোটি আটাত্তর লক্ষ পলিসির খোঁজ মিলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পাঁচ ছজন আধিকারিক সারদা থেকে নিয়মিত মাসোহারা পেতেন. অভিযুক্ত আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সারদার বিভিন্ন সংস্থায় দু বার তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর তারপরও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেবিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে
সারদায় গণেশ উল্টোনোর পর সবার অভিযোগ, নাটের গুরু সুদীপ্ত সেনই।কিন্তু সুদীপ্ত সেনের দাবি, তাঁর একার দোষে কোম্পানি ডোবেনি। তাঁর দাবি, সংস্থার শিক্ষিত কর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতাই সারদা সাম্রাজ্যের পতনের কারণ।  যদিও, এবিষয়ে সেন স্যারের সঙ্গে একমত নন সারদার কর্মীরা। তাঁদের অনেকেই জেরায় পুলিসকে জানিয়েছেন, বিপুল পরিমানে কাঁচা টাকার লোভই বিপথগামী করে তোলে সুদীপ্ত সেনকে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে, শুধুমাত্র বিষ্ণুপুরের প্রজেক্ট থেকেই দু হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হত বলে দাবি সংস্থার কর্মীদের।  মিডিয়া ব্যবসা যে তিনি চালাতে পারবেন না শেষের দিকে তা স্পষ্ট বুঝতে পারছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেজন্য আঠারোটি মিডিয়া হাউস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন সারদা কর্তা। কিন্তু কলকাতায় বসে এই সিদ্ধান্ত নিলে গোলমাল হতে পারে সেই আশঙ্কায় কলকাতা ছাড়া পরই মিডিয়া হাউস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন সুদীপ্ত সেন।
 
 

.