অতিরিক্ত টাচস্ক্রিন স্মার্টফোন ব্যবহার বাচ্চাদের পেনসিল ধরার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়

বাবা-মায়েরাও বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখার জন্য নিজের স্মার্টফোন বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। সময়ে অসময়ে ঘাটতে ঘাটতে তারাও স্মার্টফোন অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়ছে। আপনিও কি আপনার বাচ্চার হাতে স্মার্টফোন ধরিয়ে দিচ্ছেন? তাহলে জানুন কীভাবে আপনার বাচ্চার ক্ষতি করছে টাচস্ক্রিন স্মার্টফোন।

Updated By: Mar 4, 2018, 12:36 PM IST
অতিরিক্ত টাচস্ক্রিন স্মার্টফোন ব্যবহার বাচ্চাদের পেনসিল ধরার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়

নিজস্ব প্রতিবেদন: এখনকার বাচ্চারা একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের থেকেও অনেক বেশি প্রযুক্তিতে পারদর্শী। এখনও এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যিনি ভালো করে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু একটা বাচ্চাকে স্মার্টফোন হাতে ধরিয়ে দিলে, কিছু না শিখেও গড়গড় করে ব্যবহার করবে। তাও যে সে নয়, একেবারে টাচস্ক্রিন স্মার্টফোন।। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও, এটাই সত্যি। বাবা-মায়েরাও বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখার জন্য নিজের স্মার্টফোন বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। সময়ে অসময়ে ঘাটতে ঘাটতে তারাও স্মার্টফোন অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়ছে। আপনিও কি আপনার বাচ্চার হাতে স্মার্টফোন ধরিয়ে দিচ্ছেন? তাহলে জানুন কীভাবে আপনার বাচ্চার ক্ষতি করছে টাচস্ক্রিন স্মার্টফোন।

আরও পড়ুন : দিনে ১টা সিগারেটেই বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

গবেষকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে টাচস্ক্রিন স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কিংবা ভিডিও গেমের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে আপনার বাচ্চার উপর। এর ফলে আপনার বাচ্চাটি পেনসিল ধরতেও ক্রমশ অক্ষম হয়ে পড়বে। চিকিত্‌সকদের মতে, টাচস্ক্রিন ফোন কিংবা ট্যাবলেট ব্যবহার করার সময়ে বাচ্চাদের আঙুলের পেশি সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে বাধা পায়। আঙুলের জোর বাড়ে না। তাই যখন তারা পেনসিল ধরতে যায়, আঙুলে জোর পায় না। আঙুল সঠিকভাবে নড়চড়াও করে না।

এই প্রসঙ্গে ইংল্যান্ড ফাউন্ডেশন এনএইচএস ট্রাস্টের প্রধান পেডিয়াট্রিক থেরাপিস্ট স্যালি পাইন জানান, বাচ্চাদের ঠিক করে পেনসিল ধরার জন্য আঙুলের পেশির জোর দরকার এবং পেশি সঠিকভাবে চলাচল করা দরকার। যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে টাচস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে। আর ঠিক মতো পেনসিল না ধরতে পারার ফলে হাতের লেখা খারাপ হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ পরীক্ষায় নম্বরও কম আসছে। তাই বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য তাদের হাতে টাচস্ক্রিন মোবাইল কিংবা ট্যাবলেট দেওয়া কম করুন।

আরও পড়ুন : অফিসের অযৌক্তিক চাহিদা ভারতীয় কর্মীদের ৬ ঘণ্টারও কম ঘুমোতে বাধ্য করছে: তথ্য

.