মধ্যরাতে দিল্লিতে নাটকের পর সকালে নাগপুর জেলে হয়ে গেল ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি, সমাহিত মুম্বইয়ের বড়া কবরিস্তানে

মুম্বইয়ের বড়া কবরিস্তানে ইয়াকুবের দেহ সমাহিত করা হল।

Updated By: Jul 30, 2015, 07:48 PM IST
মধ্যরাতে দিল্লিতে নাটকের পর সকালে নাগপুর জেলে হয়ে গেল ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি, সমাহিত মুম্বইয়ের বড়া কবরিস্তানে

ওয়েব ডেস্ক: মুম্বইয়ের বড়া কবরিস্তানে ইয়াকুবের দেহ সমাহিত করা হল।

দুপুর ১২.২৫- ইয়াকুবের দেহ এল মুম্বইয়ে। মুম্বই জুড়ে জারি সতর্কতা।

সকাল ১০.৩০টা- দেহ নিয়ে নাগপুর বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর (IndiGo flight 544) বিমানে মুম্বইয়ে আসতে চলেছে পরিবার। মুম্বই জুড়ে কড়া নিরাপত্তা।

সকাল ৯.৪৫- ইয়াকুবের দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। কড়া নিরপাত্তায় নাগপুর জেল থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে দেহ নিয়ে রওনা হল ইয়াকুবের পরিবার।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে মুম্বইয়ে ইয়াকুবের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। মুম্বইয়ের মাহিম গোরস্থানে অনাড়ম্বরে হবে শেষকৃত্য। মৃতদেহের ছবি প্রকাশ করা যাবে না।

সাংবাদিকদের কাছে ইয়াকুবের স্ত্রী ও কন্যা মুখ খুললেন। বললেন, ফাঁসির সাজা প্রাপ্য ছিল না ইয়াকুবের। শেষ ইচ্ছা হিসাবে ইয়াকুব স্কুল খুলতে চেয়েছিলেন ইয়াকুব বলে জানাল পরিবার।

সকাল ৮টা-দেহ নিতে নাগপুর জেলে গেলেন ইয়াকুবের ভাই সুলেমান ও উসমান।

দেখুন ইয়াকুবের জীবনের শেষের কয়েক ঘণ্টা

দুপুর ১১টায় দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। আজ মুম্বইয়ে ইয়াকুবের শেষকৃত্য। কাল ইয়াকুবের মেয়ের ২১তম জন্মদিন। মুম্বইয়ে জারি হাই অ্যালার্ট।

সকাল ৭.৩০টায়- দেহের ময়নাতদন্ত হল।

সকাল ৭টা- দেহ নিয়ে তিনটি শর্ত দিল পরিবার। খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

ইয়াকুবের পরিবারের লোকের হাতেই হয়তো তুলে দেওয়া হবে দেহ। দুপুরে মুম্বইয়ে ইয়াকুবের বাড়িতে রাখা হবে দেহ। যদিও এই খবর অসমর্থিত সূত্রের।

সকাল ৬.৪৫- সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ফাঁসি হয়ে যায় ইয়াকুব মেমনের। ডাক্তররা ঘোষণা করার পর সরকারীভাবে জানানো হবে ফাঁসির খবর। ফাঁসির সময় উপস্থিত ছিলেন ৯ জন।

সূত্রের খবর ফাঁসির সময় উপস্থিত থাকবে ইয়াকুবের পরিবারের তিনজন।

সকাল ৬.৩০টা- সব প্রস্তুতি শেষ। যে সেলে ইয়াকুব রয়েছেন তার থেকে ফাঁসির মঞ্চের দূরত্ব মাত্র ২৫ পা। অর্থাত্, ২৫ কদম হেঁটে এলেই ফাঁসির দড়ির একেবারে কাছে পৌঁছে যাবেন ইয়াকুব।

ভোর ৫.৪০-নাগপুর জেলের বাইরে কড়া নিরাপত্তা। সূত্রের খবর, ডাক্তাররা পরীক্ষার পর ইয়াকুবকে ফিট বলে ঘোষণা করেছেন।

ফাঁসির আগে ইয়াকুবকে দেওয়া হল নতুন কাপড়। স্নান সারলেন ইয়াকুব।

ভোর ৫.৩০টা- নাগপুর জেলে ফাঁসির চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু। আধ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে বলে খবর।

ভোর ৩টা- ডেকে তোলা হল ইয়াকুবকে।

ভোর ৫টা- শেষ আবেদনও বাতিল হয়ে গেল। বিচারপতিরা জানান, ইয়াকুব মেমনকে সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি তাঁর ফাঁসি পিছনো হয়, তাহলে তা বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে খারাপ নজির তৈরি করবে। ভোর প্রায় পাঁচটা নাগাদ বিচারপতিরা ফাঁসি পিছনোর আবেদন খারিজ করে দেয়। পরিষ্কার হয়ে গেল আজ সকালেই হবে ফাঁসি।

ভোর ৪টা- চলছে সুপ্রিম কোর্টের চার নম্বর এজলাসে শুনানি।

রাত ৩টা- ইয়াকুবের পক্ষে আইনজীবী অশোক গ্রোভার আদালতে জানান, প্রাণভিক্ষার আর্জি নয়, ফাঁসি পিছনোর জন্যই তাঁরা নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে।

রাত ২টো- রাষ্ট্রপতি ইয়াকুবের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পর রাতেই প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হাজির হন ইয়াকুবের আইনজীবীরা। সঙ্গে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। ১৪ দিনের জন্য প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান তাঁরা।

--------------------------------------------------------------------

ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি পিছনোর আর্জি নিয়ে রাতভর দিল্লিতে চলল নাটক। রাষ্ট্রপতি ইয়াকুবের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পর রাতেই প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হাজির হন ইয়াকুবের আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। ১৪ দিনের জন্য প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান তাঁরা। এরপরই প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির বেঞ্চ তৈরি করে দেন। বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে সেই বেঞ্চে ছিলেন আরও দুই বিচারপতি অমিতাভ রায় এবং বিচারপতি পিসি পন্থ। কেন ফের ইয়াকুব মেমনের প্রাণ ভিক্ষার শুনানি হবে সে নিয়ে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ চলে।

রাত তিনটে কুড়ি নাগাদ শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টের চার নম্বর এজলাসে। ইয়াকুবের পক্ষে আইনজীবী অশোক গ্রোভার আদালতে জানান, প্রাণভিক্ষার আর্জি নয়, ফাঁসি পিছনোর জন্যই তাঁরা নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি এবং ইয়াকুবের আইনজীবীদের জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে সওয়াল জবাব। বিচারপতিরা জানান, ইয়াকুব মেমনকে সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি তাঁর ফাঁসি পিছনো হয়, তাহলে তা বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে খারাপ নজির তৈরি করবে। ভোর প্রায় পাঁচটা নাগাদ বিচারপতিরা ফাঁসি পিছনোর আবেদন খারিজ করে দেয়। সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাতটার মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করার জন্য নাগপুর জেলে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

.