লক্ষ্মণ রেখা না মানলে শুজাত বুখারির মতো অবস্থা হবে, সাংবাদিকদের হুমকি বিজেপি নেতার
লাল সিং সাংবাদিকদের কার্যত ‘ফতেয়া জারি’ করে বলেন, “এমন কিছু না করো যাতে উপত্যাকায় ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়। উন্নয়ন এবং শান্তি বজায় রাখতে নিজেদের সীমা মেনে চলা উচিত
নিজস্ব প্রতিবেদন: লক্ষ্মণ রেখা মেনে চলা উচিত সাংবাদিকদের। বাড়াবাড়ি করলে শুজাত বুখারির মতো অবস্থা হবে তাঁদের। প্রকাশ্যে কাশ্মীরের সাংবাদিকদের এমনই হুমকি দিয়ে বিতর্কে বিজেপি নেতা লাল সিং। জম্মু-কাশ্মীরের এই বিধায়ক শুক্রবার জম্মুতে সরাসরি সংবাদিকদের হুমকি দেন। তিনি বলেন, “ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে কাশ্মীরের সাংবাদিকরা। তাদের একটা লক্ষ্মণ রেখা থাকা উচিত। না হলে বাশারত (শুজাত বুখারি) ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”
আরও পড়ুন- প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সইফুদ্দিন সোজকে পাকিস্তানের টিকিট দেওয়ার পরামর্শ বিজেপির
লাল সিং সাংবাদিকদের কার্যত ‘ফতেয়া জারি’ করে বলেন, “এমন কিছু না করো যাতে উপত্যাকায় ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়। উন্নয়ন এবং শান্তি বজায় রাখতে নিজেদের সীমা মেনে চলা উচিত।” শুধুই সরাসরি হুমকি দিয়ে ক্ষান্ত হননি এই বিজেপি নেতা, টুইটেও সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি লেখেন, জঙ্গিদের সমর্থন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে খবর করার এবার দাঁড়ি টানা উচিত। মানুষকে বিভ্রান্ত করাই এখন তাদের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরের সত্যতা নিয়ে কাজ করে না। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকা উচিত তবে দেশ এবং জাতীয়তাবাদের উর্ধ্বে নয়।
আরও পড়ুন- মিথ্যা, বিভ্রান্তি ও নিরাশা ছড়াচ্ছে বিরোধীরা: মোদী
লাল সিংহের এ হেন মন্তব্যে উপত্যাকার সাংবাদিক মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেখানকার কাশ্মীর এডিটরস গিল্ড (কেইজি) তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়। সাংবাদিক বৈঠক করে কেইজি-র মুখপাত্র বলেন, “লাল সিংয়ের এমন অপরধামূলক মন্তব্যে তীব্র নিন্দা করছি। কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যমকে যে ভাবে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে শুজাত বুখারি হত্যায় তিনি জড়িত আছেন কিনা।” লাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করে কেইজি।
আরও পড়ুন- গোপনস্থানে কবর সন্ত্রাসবাদীদের, কৌশল বদল সেনার
লাল সিংয়ের মন্তব্যে সমালোচনায় নামে কংগ্রেসও। শুজাত বুখারি হত্যায় আঁতাত থাকার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ১৪ জুন ‘রাইজিং কাশ্মীর’ পত্রিকার সম্পাদক শুজাত বুখারিকে অফিসের সামনে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের পর এই ঘটনায় ফের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কাঠগড়ায় কেন্দ্র।