জীবনের অপরাণ্যে

জীবনে বহু মানুষকে আনন্দ দিয়েছে ওরা। কখনও পিঠে চড়িয়ে, কখনও হরেক খেল দেখিয়ে। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমে দিন গেছে। কিন্তু কাজের ক্ষমতা ফুরোতেই প্রয়োজনও ফুরিয়ে গেছে। এমনই অসুস্থ, বয়স্ক হাতিদের আশ্রয় স্থল আগ্রার এলিফ্যান্ট হাভেন।   

Updated By: Oct 5, 2013, 10:56 AM IST

জীবনে বহু মানুষকে আনন্দ দিয়েছে ওরা। কখনও পিঠে চড়িয়ে, কখনও হরেক খেল দেখিয়ে। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমে দিন গেছে। কিন্তু কাজের ক্ষমতা ফুরোতেই প্রয়োজনও ফুরিয়ে গেছে। এমনই অসুস্থ, বয়স্ক হাতিদের আশ্রয় স্থল আগ্রার এলিফ্যান্ট হাভেন।   
সংখ্যায় ওরা সাত-সাতজন। দিনভর ব্যস্ত খেতে কিংবা একটু এদিক-ওদিক ঘোরাফেরায়। সেবা-শুশ্রূষায় কোনও খামতি নেই। কিন্তু জীবনটা কখনই এত সুখের ছিল না এই হস্তিকূলের। বরং উল্টোটা ছিল। বাধা থাকতে হত চেনে। রোজ পথে বেরিয়ে কোথাও খেল দেখানো, আবার কোথাও লোকজনকে পিঠে চড়িয়ে আনন্দ দেওয়াই ছিল কাজ। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত, এক রুটিন। অসুস্থ হলেও কাজ থামানোর জো নেই।
থামল সেদিন, যেদিন আর কাজ করার ক্ষমতা নেই। যখন কেউ আর ফিরেও তাকায় না। সেদিন থেকেই তাঁদের ঠিকানা আগ্রার এই এলিফ্যান্ট হাভেন। দেশের সবচেয়ে বড় প্রাণী উদ্ধার এবং সংরক্ষণ কেন্দ্র। অসুস্থ হাতিগুলি এখানকার শুশ্রূষায় এখন বেশ সুস্থ। চব্বিশ ঘণ্টাই ঘড়ি ধরে দেখভাল। সাতটি হাতির জন্য এখানে আছেন পনের জন কর্মী।
 
দিনদিন সংখ্যায় কমছে এশিয়ার হাতি। কখনও চোরাশিকারিদের হাতে পড়ে, আবার কখনও বন দফতরের চূড়ান্ত উদাসীনতায়। তাদের সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ যে জরুরি তা মানছে প্রশাসনও।

.