ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাকে নোটিস কেন্দ্রের, ৩১ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট তলব
সংস্থাটির কাছে নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন পদ্ধতিতে তারা নেটিজেনদের তথ্য জোগাড় করে? সেই সঙ্গে জোগাড় করা তথ্য কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়েছে?
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস-কাণ্ডে এবার ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার সকালে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। ৩১ মার্চের মধ্যে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছ থেকে জবাব তলব করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- নরেন্দ্র মোদীকে হিটলার ও রবিশঙ্কর প্রসাদকে গোয়েবল্সের সঙ্গে তুলনা করল কংগ্রেস
অভিযোগ উঠছে, অনুমতি ছাড়াই কোটি কোটি নেটিজেনের ফেসবুক তথ্য চুরি করেছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। সেই তথ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে ব্যবহার করে জনমতকে প্রভাবিত করেছে ব্রিটিশ সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, ব্রেক্সিটের সময়ও জনমতকে প্রভাবিত করতে সেই তথ্যকেই কাজে লাগানো হয়। গুজরাট নির্বাচনের আগে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে কংগ্রেস কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাহায্য নিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও তাদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান দিব্যা স্পন্দানার পাল্টা দাবি, ''কংগ্রেসের সঙ্গে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কোনও যোগ নেই। ইরাকে ৩৯ জন ভারতীয় নাগরিকের হত্যার ঘটনা থেকে সকলের নজর ঘোরাতেই এই মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বিজেপি।''
কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ''সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।'' এই বিষয়ে প্রয়োজনে ফেসবুকের মালিককেও ডাকা হতে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নির্বাচন জিততে চাইছে কংগ্রেস? প্রশ্ন রবিশঙ্করের
এরপরই শনিবার ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাকে একটি নোটিস ধরাল কেন্দ্র। সংস্থাটির কাছে নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন পদ্ধতিতে তারা নেটিজেনদের তথ্য জোগাড় করে? সেই সঙ্গে জোগাড় করা তথ্য কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়েছে? আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা না করলে সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নেওয়ার কথাও ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার।