ম্যারাথন জেরায় অবশেষে শিনাকে খুনের কথা স্বীকার করলেন ইন্দ্রাণী

Updated By: Sep 2, 2015, 11:27 PM IST
ম্যারাথন জেরায় অবশেষে শিনাকে খুনের কথা স্বীকার করলেন ইন্দ্রাণী

ম্যারাথন জেরায় অবশেষে ভেঙে পড়লেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি। স্বীকার করে নিলেন, শিনাকে খুন করেছেন। কিন্তু কেন চিরদিনের মতো সরিয়ে দিলেন মেয়েকে? মুখ খোলেননি। তবে মিখাইলকে খুনের কোনও পরিকল্পনা ছিল না বলে দাবি করেছেন ইন্দ্রাণী।

শিনাকে নিয়ে প্রথম থেকেই বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলে চলেছেন ইন্দ্রাণী। বলে গেছেন পরস্পর বিরোধী কথা। এমনও বলেছেন, শিনা বেঁচে রয়েছে। আমেরিকায় থাকে।  অবশেষে বুধবার মুম্বইয়ের খার থানায় পুলিসি জেরার মুখে ভেঙে পড়লেন ইন্দ্রাণী। স্বীকার করে নিলেন, শিনাকে খুন করেছেন। কিন্তু কেন চিরতরে সরিয়ে দিলেন নিজের প্রথম সন্তানকে? কিসের সংঘাত? তানিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিস।  মিখাইলকে খুনের পরিকল্পনার কথা অবশ্য এদিনও অস্বীকার করেছেন ইন্দ্রাণী।

বুধবার সকাল সাড়ে দশটাতেই খার থানায় পৌছে যান ইন্দ্রাণীর স্বামী পিটার মুখার্জি। নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না, গাড়ির চালক শ্যাম রাইকে। প্রথমে ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না, গাড়ির চালক শ্যাম রাই, ইন্দ্রাণীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। তখনই ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর  ইন্দ্রাণী ও পিটারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। দুবারই রীতিমতো ভেঙে পড়া অবস্থায় স্বীকার করে নেন শিনার খুনে জড়িত তিনি। আলাদা করে জেরা করা হয় পিটারকেও। রেকর্ড করা হয় পিটার মুখার্জির বয়ান । দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে যা যা উঠে এসেছে তা হল

১. খুনের দিন দেশের বাইরে ছিলেন পিটার।

২. রায়গড়ের পেন জঙ্গলে শিনার দেহ ফেলার জন্য একটি  গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল ৫০ হাজার টাকায়।
৩. জায়গা রেকি করা থেকে দেহ ফেলা পর্যন্ত ওই গাড়িটি কাজে লাগানো হয়েছিল বলে অনুমান পুলিসের।
৪. বুধবারই পিটার মুখার্জির মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, ওয়েব ক্যাম, ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করে পুলিস।

৫. পিটারের  ব্যাঙ্ক লেনদেনের কাগজপত্র, কোম্পানি ডিড-ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  

৬. ২০১২-র ২৪ এপ্রিলের আগে ও পরে ইন্দ্রাণীর কল ডিটেল খতিয়ে দেখছে পুলিস।

৭. ২০১২-র ২৪ এপ্রিল থেকে পয়লা মে-র মধ্যে কারা কারা আমেরিকা গিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

৮. দেখা যাচ্ছে ২০১২-র ২৪ এপ্রিলের পর গত তিন বছরের বেশিরভাগ সময় ব্রিটেনে কাটিয়েছেন ইন্দ্রাণী  
 
টুকরো টুকরো এইসব তথ্য কাজে লাগিয়েই মূলে পৌছতে চাইছে মুম্বই পুলিস।

.