শশীকলাকে তাড়ালেন জয়ললিতা

ফের আম্মার কোপে পড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশীকলা। জয়ললিতার নির্দেশে সোমবার এআইএডিএমকে`র প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তামিল রাজনীতির `লিকার ব্যারনেস`কে।

Updated By: Dec 19, 2011, 03:53 PM IST

ফের আম্মার কোপে পড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশীকলা। জয়ললিতার নির্দেশে সোমবার এআইএডিএমকে`র প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তামিল রাজনীতির `লিকার ব্যারনেস`কে।
শশীকলার সঙ্গেই তাঁর স্বামী এম নটরাজন, দুই ভাইপো-দিনাকরণ ও বেঙ্কটেশ-সহ ১২ জন আত্মীয়কে দল থেকে তাড়িয়েছেন আম্মা। বাদ পড়েননি শশীকলার পালিত পুত্র ভি এন সুধাকরণও। একদা সুধাকরণকে নিজের দত্তক-সন্তান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন এআইএডিএমকে সুপ্রিমো। নানা দুর্নীতিতে সুধাকরণের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সময় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে জয়ললিতাকে।
১৯৯৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এআইএডিএমকে`র ভরাডুবির পর জয়ললিতার নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন শশীকলা। পত্রপাঠ তাঁকে দরজা দেখিয়ে দেন আম্মা। অবশ্য এর কিছুদিনের মধ্যেই ঘনিষ্ঠ সহচরীকে দলে ফিরিয়ে নেন তিনি। ঠাঁই দেন, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটিতে।
২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর শশীকলার মালিকানাধীন মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা `মিডাস`কে প্রভূত সাহায্য করেছিলেন জয়ললিতা। বিরোধী ডিএমকে`র তরফে অভিযোগ করা হয়, `মিডাস`-এ গোপন অংশীরারিত্ব রয়েছে আম্মার। পরবর্তী ডিএমকে জমানায় জয়ললিতার পাশাপাশি নানা দুর্নীতি কাণ্ডে মামলা করা হয় শশীকলার বিরুদ্ধেও।
চলতি বছরের বিধানসভা ভোটে জয়ললিতার কাছে টিকিট চেয়েও ব্যর্থ হন শশীকলা। এর পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। সম্প্রতি প্রাক্তন ছায়াসঙ্গিনীকে নিজের পোয়েস গার্ডেনের বাসভবনেও ঢুকতে নিষেধ করেছিলেন আম্মা।

.