প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা মায়াবতীর

অতীতেও একাধিকবার `মনুবাদী চক্রান্তকারী`দের বিরুদ্ধে তাঁকে খুন করার ছক কষার কথা জানিয়েছেন বহেনজি। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিজের প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা জানালেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সমাজবাদী পার্টির সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর নিরাপত্তা কাটছাঁট করেছে।

Updated By: May 2, 2012, 06:07 PM IST

অতীতেও একাধিকবার `মনুবাদী চক্রান্তকারী`দের বিরুদ্ধে তাঁকে খুন করার ছক কষার কথা জানিয়েছেন বহেনজি। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিজের প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা জানালেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সমাজবাদী পার্টির সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর নিরাপত্তা কাটছাঁট করেছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে তাঁর প্রাণরক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ৭ রেসকোর্স রোডের বাসিন্দার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী।
চলতি বছরের মে মাসে বিধানসভা ভোটে হেরে লখনউয়ের কুরসি হাতছাড়া হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে মায়াবতীকে `জেড প্লাস` সিকিউরিটি প্রাপক ভিভিআইপি`দের তালিকায় রেখেছে। ফলে নিরাপত্তা বিধি অনুযায়ী সব সময়ই তাঁকে ঘিরে থাকে ২৮ জন এনএসজি কম্যান্ডো`র বলয়। থাকে, ১২ জন সশস্ত্র হোমগার্ড এবং ৬ জন ওয়্যারলেস অপারেটর, নিরাপত্তা রক্ষী বহনকারী ৫টি গাড়ি আর হুটার লাগানো `পাইলট কার`-ও। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সর্বক্ষণের `বুলেটপ্রুফ কার`ও রয়েছে বহেনজির।
তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অখিলেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিএসপি সুপ্রিমোর আনা নিরাপত্তা কমানোর অভিযোগেরও কিছুটা সারবত্তা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মায়াবতীর কনভয়-এ রাজ্য সরকারের তরফে একটি মোবাইল জ্যামার-যুক্ত গাড়ি থাকলেও সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতা দখল করার পরই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তা ছাড়া লখনউয়ের সরকারি বাসভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার সময় মায়াবতী যে রাস্তা ব্যবহার করতেন সেখানে অন্য কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হত না। মুলায়ম-পুত্র মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রথার বদল ঘটে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বরাবরই নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত স্পর্শকাতর কাঁসিরামের মানসকন্যা। এমনকী বিষপ্রয়োগের আশঙ্কায় সব সময় `ফুড টেস্টার` নিয়ে ঘোরেন তিনি। স্বভাবতই উত্তরপ্রদেশ সরকারের নিরাপত্তা হ্রাসের এই সিদ্ধান্তে কপালে ভাঁজ পড়েছে মায়ার।

.