উপনির্বাচনের ফল উল্টে যাচ্ছে নির্বাচনে, পরিসংখ্যান বিজেপির পাশেই

২০১৪ সালের পর থেকে উপনির্বাচন হয়েছে ২৭টি লোকসভা আসনে। মাত্র ৫টি জিতেছে গেরুয়া শিবির। শরিকদের সঙ্গে নিলে ৬টি আসন।

Updated By: May 31, 2018, 09:00 PM IST
উপনির্বাচনের ফল উল্টে যাচ্ছে নির্বাচনে, পরিসংখ্যান বিজেপির পাশেই

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯ সালে মোদী বনাম ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিল বৃহস্পতিবারের উপনির্বাচনের ফল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পণ্ডিতরা। মহারাষ্ট্রে একটি লোকসভা ও উত্তরাখণ্ডে একটি বিধানসভা আসন ঝুলিতে পুরেছে বিজেপি। উপনির্বাচনের ফল কি ইঙ্গিত দিচ্ছে, মোদী ম্যাজিক ফিনিশ? পরিসংখ্যান ঘাঁটলে অবশ্য এই তত্ত্বে শিলমোহর দেওয়া সম্ভব নয়।    

২০১৪ সালে ২৮২টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা আবেগে ভর করে রাজীব গান্ধীর পক্ষে জনাদেশ ছিল ৪০৪টি আসন। তারপর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দিল্লির তখতে মোদী সরকার। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আর কয়েকটা মাস বাকি। তার আগেই উপনির্বাচনে ধাক্কা খেল বিজেপি। কৈরানায় জেতা আসনও ধরে রাখতে পারল না গেরুয়া শিবির। কৈরানা থেকেই বিজেপির শেষের শুরু বলে দাবি বিরোধীদের। সত্যিই কি তাই? পরিসংখ্যান অবশ্য অন্য কথা বলছে। 

২০১৪ সালের পর থেকে উপনির্বাচন হয়েছে ২৭টি লোকসভা আসনে। মাত্র ৫টি জিতেছে গেরুয়া শিবির। শরিকদের সঙ্গে নিলে ৬টি আসন। তাত্পর্যপূর্ণভাবে, চারবছরে লোকসভার একটাও আসন বাড়াতে পারেনি বিজেপি।পাঁচটি আসনই ধরে রেখেছে তারা। অথচ বিজেপির কাছ থেকে ৫টি আসন কেড়ে নিয়েছে বিরোধীরা। তবে এই চারবছরে বিজেপির দখলে এসেছে একের পর রাজ্য। অসম, ত্রিপুরার মতো রাজ্যেও এখন গেরুয়া শিবিরের শাসন। অতিসম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে উপনির্বাচন হেরেছিল বিজেপি। অথচ কর্ণাটকে বৃহত্তম দল হয়েছে তারাই। তথ্যই বলছে, উপনির্বাচনের হারলেও বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব পড়ছে না। তাই উপনির্বাচনের ফল দেখে ২০১৯ সালের ভবিষ্যতবাণী করা অর্বাচীনের কাজ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কোনও এক অজানা কারণে মোদী-শাহের ম্যাজিক কাজে লাগছে না উপনির্বাচনে। অনেকের মতে, ২০১৯ সালে বিরোধী জোটের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় নিশ্চিতভাবে রণকৌশল তৈরি করেছেন শাহ-মোদী। তবে একথা অনস্বীকার্য, রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রাখল উপনির্বাচন।

আরও পড়ুন- উপনির্বাচনে হারের মাঝেই শেষবেলায় মোদীর মুখে চওড়া হাসি

 

.