উধাও চেনা উত্তেজনা, গুজরাটে প্রথম দফায় জীবন বইল নিয়ম মেনেই

সাঙ্গ হল গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। আগে থেকেই সেখানে ঘাঁটি গেড়েছেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি। প্রতি মুহূর্তের খবরের পাশাপাশি সেরাজ্যের রাজনীতির অচেনা ছবি তুলে ধরতে কলম ধরলেন কমলিকা সেনগুপ্ত।  

Updated By: Dec 9, 2017, 06:22 PM IST
উধাও চেনা উত্তেজনা, গুজরাটে প্রথম দফায় জীবন বইল নিয়ম মেনেই

কমলিকা সেনগুপ্ত

মোদীর খাসতালুকে তাঁকেই দুর্গরক্ষার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ২১ বছরের রাজ্যপাতে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াও বেশ প্রবল। তাই শনিবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরুর আগে গুজরাটে রাজনৈতিক উত্তাপ ছিল চরমে। তবে তা বাঁধা রইল রাজনীতির পরিসরেই। ভোটগ্রহণে বঙ্গের চেনা সন্ত্রাসের পরিবেশ যেন অজানা গুজরাটে। তাই টানটান উত্তেজনার ভোটেও খোলা রইল বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল। জীবন চলল স্বাভাবিক ছন্দে। 

গুজরাট ভোটের প্রতি মুহূর্তের খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য দিন কয়েক আগে থেকেই সেরাজ্যে পৌঁছেছেন গোটা দেশের সাংবাদিকরা। হাই ভোল্টেজ ভোটে অপলক বাংলার সাংবাদিকরাও। তবে চোখে যা পড়ল তা একদিকে যেমন গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা জাগায় তেমনই আশঙ্কা জাগায় পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত্ নিয়ে। যেখানে ভোট মানেই বোমাবাজি, রক্তপাত।

ভোটের আগের রাতে নেই চেনা বুটের আওয়াজ। শনিবার সকালেও রাজকোট শহর অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক। ভোটকেন্দ্র বাদ দিলে বাকি সব জায়গায় স্বাভাবিক জনজীবন। তবে রাজনৈতিক কর্মীদেরও চোখে পড়ল না তেমন। পাড়ার মোড়ে ছিল না রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পও। নির্বাচন কমিশনের করা ক্যাম্প থেকেই স্লিপ নিয়ে ভোট দিলেন সাধারণ মানুষ। মিলল না ভোটারদের প্রভাবিত করার কোনও অভিযোগও। বুথে বুথে ঘুরতে দেখা গেল না প্রার্থীদেরও। 

আরও পড়ুন - দেশজুড়ে মুসলিমদের ওরা ভুল পথে চালিয়েছে, গুজরাটে কংগ্রেসকে নিশানা মোদীর

রাজকোটে যে বুথে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির ভোট দিলেন, তার বাইরে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোটাররা। সেখানেই আবার ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে জানালেন বিজেপি নয়, কংগ্রেসকে ভোট দেবেন তাঁরা। ভোটকেন্দ্রের পাশেই এক চায়ের দোকানি প্রশ্ন করতে ব্যস্ততার মধ্যেই জাানলেন, ভোট দেবেন তিনিও, তবে যাবতীয় কাজ সামলে।

শুধু ওই চা বিক্রেতাই নয়, নিজেদের কর্মক্ষেত্র থেকে এসে ভোট দিয়ে গেলেন বহু স্থানীয় শ্রমিক ও দোকানের কর্মী। ৮৯টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণে মিলল না কোনও সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর। কয়েকটি জায়গায় ভোটযন্ত্রে গড়বড় থাকায় কিছুক্ষণ ভোটদান স্থগিত থাকে। তবে সেখানেও কোনও উত্তেজনা তৈরি হয়নি। দোকানপাটও খোলা রইল যথারীতি। গুজরাট দেখাল রাস্তায় নয়, কীভাবে মতাদর্শের লড়াই লড়তে হয় ভোটবাক্সে।

.