মেলালেন, তিনি মেলালেন...

তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁদের দেখা যায় সারাবছর যুযুধান, কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁরা সবাই একসঙ্গে নতমস্তক। রবীন্দ্র সদনে তখন শেষ শয্যায় শায়িত নীললোহিত। কবির মরদেহের সামনে, প্রেক্ষাগৃহের বাইরে - দেখা গেল রাজনীতিবিদদের সৌজন্যের বিরল ছবি।

Updated By: Oct 25, 2012, 09:53 PM IST

তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁদের দেখা যায় সারাবছর যুযুধান, কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁরা সবাই একসঙ্গে নতমস্তক। রবীন্দ্র সদনে তখন শেষ শয্যায় শায়িত নীললোহিত। কবির মরদেহের সামনে, প্রেক্ষাগৃহের বাইরে - দেখা গেল রাজনীতিবিদদের সৌজন্যের বিরল ছবি।      
কবি ঘুমিয়ে পড়েছেন। তাঁকে শেষবার দেখতে অগণিত মানুষের সমাগমে ভরে উঠেছে রবীন্দ্র সদন চত্ত্বর। রয়েছেন রাজনীতির লোকেরাও। এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন। রবীন্দ্র সদনের বাইরে দেখা হয়ে গেল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে।
নমস্কার, আর বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। রাজনীতির ময়দানে যাঁরা সবসময় একে অপরকে আক্রমণে ব্যস্ত থাকেন, কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তাঁরাই রাখলেন সৌজন্যের স্বাক্ষর।
এলেন আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামী, মনোজ ভট্টচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তাঁরাও।
মরদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। উল্টো দিকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর সঙ্গে রবীন্দ্র সদনে এলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টচার্য। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সামনেই কবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন তাঁরা। 
বিষাদের দিনেই এরকম নানা টুকরো মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকল রবীন্দ্র সদন চত্ত্বর। আলাদা আলাদা মতাদর্শে বিশ্বাসী কোনও রাজনীতিবিদ নন। ডান-বাম সব নেতাদেরই যে আজ একটাই পরিচয়। তাঁরা সকলেই সুনীল অনুরাগী।

.