হিন্দি নয় তামিলই দেশকে জুড়তে পারে, অমিতকে কটাক্ষ ডিএমকে নেতার

একাধিক যুক্তিও জুড়ে দিয়েছিলেন ডিএমকে-এর এই নেতা। এলানগোভানের কথায়, “বিশ্বের পুরনো ভাষাগুলির মধ্যে অন্যতম হল তামিল। ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরে সরকারি ভাষা এটি।”

Updated By: Sep 19, 2019, 02:06 PM IST
হিন্দি নয় তামিলই দেশকে জুড়তে পারে, অমিতকে কটাক্ষ ডিএমকে নেতার
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দি নয়, দেশকে এক সুতোয় বাঁধতে পারে তামিল। তাহলে তামিলকে কি রাষ্ট্রীয় ভাষা ঘোষণা করা যেতে পারে? এমন প্রশ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে ছুড়ে দিলেন ডিএমক-এর মুখপাত্র টিকেএস এলানগোভান। তবে, তামিলকে রাষ্ট্রীয় ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল তিনি করেননি, তাঁর দাবি,যদি হিন্দির প্রসঙ্গ উঠে আসে, তাহলে তামিল নয় কেন?

একাধিক যুক্তিও জুড়ে দিয়েছিলেন ডিএমকে-এর এই নেতা। এলানগোভানের কথায়, “বিশ্বের পুরনো ভাষাগুলির মধ্যে অন্যতম হল তামিল। ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরে সরকারি ভাষা এটি।” সাহিত্য, সংস্কৃতিতে এই ভাষা বেশ উত্কর্ষ বলে দাবি তাঁর। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে তামিল সংস্কৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তা হলে তামিল দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা হবে না কেন প্রশ্ন এলানগোভানের।

আরও পড়ুন- মোদীর পর এবার অমিত 'ভাই'কে হলুদ গোলাপে বন্ধুত্বের বার্তা মমতার

উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, বিশ্বের কাছে দেশের পরিচিতি বানাতে প্রয়োজন একটি ভাষা। হিন্দিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলে থাকেন। হিন্দিই পারে দেশকে এক সুঁতোয় বাঁধতে। অন্যান্য ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই মন্তব্য করেছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমালোচনার ঝড় আসতে শুরু করে। আঞ্চলিক ভাষী রাজ্যগুলি সমালোচনায় মুখর হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্টালিন, শশী থারুরু মতো রাজনীতিকদের সঙ্গে সেলিব্রিটিরাও অমিতের মন্তব্যের সমালোচনা করেন। এমনকি বিজেপির অন্দরেও ক্ষোভ তৈরি হয়। বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়ে দেন, হিন্দিকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে মেনে নেবে না। কার্যত বাধ্য হয়েই গতকাল সুর নরম করতে দেখা যায় অমিত শাহকে। তিনি বলেন, মাতৃভাষার উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কথা কখনওই বলিনি। হিন্দিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে দেখা যেতে পারে, তা অনুরোধ করেছিলাম।

এ দিন এলানগোভান জানান, হিন্দিভাষীর থেকে অ-হিন্দিভাষীর সংখ্যা অনেক বেশি। আঞ্চলিক ভাষী রাজ্যগুলি অর্থনীতি, প্রযুক্তি দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গোবলয়ের রাজ্যগুলির থেকে। গোটা দেশে আরএসএস ভাবনা প্রয়োগ করতে বিজেপি মরিয়া বলে কটাভ এলানগোভানের।

.