যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের প্রশ্নে কেন পিছিয়ে রাখা হয় ভারতীয় মহিলাদের?

সুখোই, মিরাজের ককপিটের সিঁড়ি তিন ভারতীয় কন্যার পায়ের নিচে। কিন্তু পাকিস্তান, তুরস্ক, ইজরায়েলের মতো দেশেও যেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে মহিলারা, সেখানে সাবালক হতে এত দেরি কেন ভারতের?

Updated By: Jun 19, 2016, 09:27 PM IST
যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের প্রশ্নে কেন পিছিয়ে রাখা হয় ভারতীয় মহিলাদের?

ওয়েব ডেস্ক: সুখোই, মিরাজের ককপিটের সিঁড়ি তিন ভারতীয় কন্যার পায়ের নিচে। কিন্তু পাকিস্তান, তুরস্ক, ইজরায়েলের মতো দেশেও যেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে মহিলারা, সেখানে সাবালক হতে এত দেরি কেন ভারতের?

আমেরিকা হোক বা চিন, পাকিস্তান হোক বা ইজরায়েল, যুদ্ধক্ষেত্রে মহিলাদের উপস্থিতি নজরকাড়া। ১৯৩৬-এ তুরস্ক পায় মহিলা ফাইটার পাইলট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন বিমানসেনায় দেখা গিয়েছে মহিলাদের উপস্থিতি। এমনকী মার্কিন সাবমেরিন চালিয়েছেন একাধিক মহিলা। সেদিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ভারত। নৌবাহিনীতে মহিলা চালিত সেলর শিপ "মাধে' বা যুদ্ধবিমানের ককপিটে ওঠার দোরগোড়ায় দাঁড়িতে থাকা তিন ভারতীয় কন্যা বাদে কমব্যাট জোনে ভারতীয় নারীরা কোথায়?

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মহিলার উপস্থিতি মাত্র ৪ শতাংশ। নৌবাহিনীতে মহিলা মাত্র ৫ শতাংশ। ভারতীয় বিমানবাহিনীতে মহিলার সংখ্যা মাত্র ১৩২৮। কিন্তু কোনও বাহিনীর কোনও মহিলাকেই যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে হয় না।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে যে বিভাগে মহিলারা কাজ করছেন, তার মধ্যে রয়েছে ইএমই, সিগন্যালস, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্মি এডুকেশন এবং আর্মি অর্ডিন্যান্স কপস।  নৌবাহিনীর সব বিভাগেই কাজ করছেন মহিলারা। কিন্তু সাবমেরিন বা যুদ্ধজাহাজের চালকের ভূমিকায় দেখা যায় না ভারতীয় মহিলাদের।

বিমানবাহিনীতেও পণ্যবাহী বিমান, হেলিকপ্টার এবং টেকনিক্যাল বিভাগ ছাড়া অন্য কোনও বিভাগে দেখা যায় না মহিলাদের। যুদ্ধবিমান চালিয়ে শত্রুশিবিরে হানা দেওয়ার ছবিটা এখনও ভারতীয় বিমানবাহিনীতে বিরল। 

যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের প্রশ্নে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে ভারতীয় মহিলাদের। কিন্তু কেন? এখনও ভাবা হয়, মহিলারা নাইট ডিউটি করতে পারবে তো? তারা গুলি চালাতে পারবে তো!স্থায়ী কমিশনড কোনও মহিলা নেই ভারতীয় বাহিনীতে। চাকরির সবচেয়ে বেশি মেয়াদ ১৪ বছরের। পেনশন বা মেডিক্যাল সুবিধাও পান না তাঁরা। যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে অনেকসময়ই পৃথক শৌচালয়ের সুবিধা পান না মহিলারা। টেন্টে থাকার সময় অনেকক্ষেত্রেই যৌন হয়রানির অভিযোগও ওঠে। ফলে অনেকেই মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেন বলেও অভিযোগ।

অর্ধেক আকাশকে পুরো আকাশে রূপান্তরিত করতে তাই প্রয়োজন মানসিকতা বদলের। এই প্রশ্নে মোদী সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর অন্যরকম ভাবার সাহস দেখিয়েছেন। যুদ্ধবিমানের ককপিট খুলে দিয়েছেন মহিলাদের জন্য।

.