মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে তিনি কী করে আজকের মাহি হলেন, জানেন?
আজ জন্মদিন ক্যাপ্টেন কুলের। ৩৫ বছরে পা দিলেন ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের তালিকায় থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে ভারতকে দ্বিতীয়বারের জন্য একদিনের ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেন এই ধোনিই। তাঁর হাত ধরেই ২০০৭-এ ICC টি-২০ ক্রিকেটেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এই ধোনিই আবার একইসঙ্গে টিম ইন্ডিয়াকে টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটেও একনম্বর স্থানে তুলে এনেছিলেন। বর্তমানে তিনি টেস্ট দলের থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে, একদিনের ক্রিকেটে আজও তিনিই ক্যাপ্টেন।
ওয়েব ডেস্ক : আজ জন্মদিন ক্যাপ্টেন কুলের। ৩৫ বছরে পা দিলেন ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের তালিকায় থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে ভারতকে দ্বিতীয়বারের জন্য একদিনের ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেন এই ধোনিই। তাঁর হাত ধরেই ২০০৭-এ ICC টি-২০ ক্রিকেটেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এই ধোনিই আবার একইসঙ্গে টিম ইন্ডিয়াকে টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটেও একনম্বর স্থানে তুলে এনেছিলেন। বর্তমানে তিনি টেস্ট দলের থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে, একদিনের ক্রিকেটে আজও তিনিই ক্যাপ্টেন।
কিন্তু, জানেন কি, যে ধোনিকে আজ আপনারা চেনেন তাঁকে বিশ্ব ক্রিকেটের আঙিনায় কে বা কারা এনেছেন?
প্রশ্নটা অনেকের কাছেই অত্যন্ত সহজ বলেই মনে হবে। কারণ অধিকাংশ মানুষই বলবেন, এ আর নতুন কথা কী! ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন সৌরভ গাঙ্গুলির হাত ধরেই তাঁর বিশ্ব ক্রিকেটে প্রবেশ। হ্যাঁ কথাটা ভুল নয়। কারণ তিনিই তো প্রথম রেলওয়েজের হয়ে খেলতে দেখেছিলেন ধোনিকে। এরপরই তত্কালীন কোচ জন রাইটকে বলে ধোনিকে দলে সুযোগ করে দিয়েছিলেন সৌরভ। সালটা ছিল ২০০৪। আর তারপর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বিশ্ব ক্রিকেটের এই অন্যতম আশ্চর্য বালককে।
তবে, এখানেই শেষ নয়। ঝাড়খণ্ডের সেই ছোট্টো এলাকাটি থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বিশ্ব ক্রিকেটে 'মাহি' তৈরির কারিগর যাঁরা, তাঁদের কী আদৌ আপনারা চেনেন? কখনও শুনেছেন সেই মানুষগুলির কথা? হয়তো তাঁদের কাছের মানুষগুলো ছাড়া আর কেউই শোনেননি।
১) কেশবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব-
এক সময় ফুটবল খেলতেন ধোনি। অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের সেদিনের সেই ছেলেটি ছিল গোলকিপার। স্কুল থেকে জোনাল ফুটবল, সবেতেই নিজের স্বতন্ত্র ছাপ রেখেছিলেন ধোনি। সেই সময় জওহর বিদ্যামন্দির নামে যে স্কুলে পড়তেন ধোনি সেখানকার ক্রীড়াশিক্ষক ছিলেন কেশবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই ধোনিকে একপ্রকার জোর করে ফুটবল থেকে ক্রিকেটে নিয়ে আসেন। শুধু নিয়েই এসেছেন তাই নয়, সোজা উইকেটকিপারের দায়িত্ব সামলানোর কথা বলে দেন স্কুল টিমের হয়ে। প্রথমটায় হোঁচট খেলেও, খুব তাড়াতাড়ি নিজের খেলা তুলে নেন মিস্টার কুল। সেই সময় থেকেই কার্যত নিজের মতো করে ক্রিকেট খোলাটিকে বুঝে নিয়েছিলেন তিনি।
২) পরমজিত্ সিংয়ের প্রভাব-
জীবনের এতটা পথ এবং সাফল্য অতিক্রম করে আসার পরও, এই মানুষটিকেই তিনি নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড বলে মনে করেন। মাহির কথায়, এই মানুষটি যদি তাঁর জীবনে না থাকতেন তাহলে হয়তো কোনওদিনই বিশ্ব ক্রিকেট ভারতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হত না। কারণ গোটা রাত গাড়ি চালিয়ে পরমজিত্ ধোনিকে রনজি ট্রফিতে তাঁর প্রথম ম্যাচ খেলতে পুণেতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
৩) অনিমেষকুমার গাঙ্গুলির প্রভাব-
সকলেই জানি ধোনিকে ভারতীয় দলে জায়গা করে দিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু, সেই জায়গায় পৌঁছাতে গিয়ে ধোনিকে সৌরভের আগেও যিনি সাহায্য করেছেন তিনি অনিমেষকুমার গাঙ্গুলি। সংসার চালানোর জন্য যখন একটি চাকরি খুঁজছিলেন ধোনি, ঠিক তখনই দক্ষিণ পূর্ব রেলের তত্কালীন ম্যানেজার অনিমেষকুমার গাঙ্গুলি তাঁকে চাকরিতে নেন। উদ্দেশ্য তাঁকে কাজের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ক্রিকেট দলের হয়ে উইকেট কিপিং করতে হবে। আর সেই জায়গা থেকেই জার্নি শুরু আজকের মাহির।