মেরির সাফল্য অনুপ্রেরনা জোগায়, তবে স্বপ্নার আদর্শ স্বপ্না নিজেই
ম্যাগনিফিসেন্ট মেরির সাফল্য অনুপ্রেরনা যোগায়। ৩৫ বছর বয়সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সত্যিই মেরিকে নিয়ে কিছু বলার নেই স্বপ্নার। তবুও মেরির সাফল্যকে কুর্নিশ করছেন স্বপ্না।
সুখেন্দু সরকার
জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়। গলি থেকে রাজপথের কাহিনী স্বপ্নার। জাকার্তায় এশিয়াডে হেপ্টাথেলনে সোনা জয়ের পর থেকে শুভেচ্ছা আর সংবর্ধনার বন্যায় ভাসছেন বাঙালি অ্যাথলিট। মিলেছে আর্থিক সাহায্যও। মঙ্গলবার বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ নিজের হাতে দশ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন স্বপ্নার হাতে। সোনার মেয়েকে আগামীর প্রস্তুতির জন্য এই আর্থিক সাহায্য।
আরও পড়ুন - ‘আজ তোমার কথা খুব মনে পড়ছে’, ফিল হিউজকে শ্রদ্ধার্ঘ স্মিথ, ক্লার্ক, লেম্যানের
এশিয়াডে সোনা জেতার পরই মাস খানেক আগে জার্মানিতে অ্যাডিডাসের হেডকোয়ার্টারে জুতোর মাপ দিয়ে এসেছেন। দুই পায়ে ছটি করে আঙুল স্বপ্নার। ফলে সাধারণ কোনও জুতো তার জন্য যথেষ্ট নয়। জার্মানিতে তৈরি স্বপ্নার বিশেষ ডিজাইনের জুতো এখন পায়ে পড়ার অপেক্ষায় স্বপ্না। সামনে তাঁর একটাই লক্ষ্য এখন এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই মতোই কোচ সুভাষ সরকারের কাছে অনুশীলনও চলছে তাঁর। ম্যাগনিফিসেন্ট মেরির সাফল্য অনুপ্রেরনা যোগায়। ৩৫ বছর বয়সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সত্যিই মেরিকে নিয়ে কিছু বলার নেই স্বপ্নার। তবুও মেরির সাফল্যকে কুর্নিশ করছেন স্বপ্না। তবে মেরি কম নন, স্বপ্নার আদর্শ স্বপ্না নিজেই। এদিন দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন ২২ বছর বয়সী স্বপ্না।
আরও পড়ুন - অস্ট্রেলিয়াতেই অধিনায়ক বিরাট কোহলির আসল পরীক্ষা, বললেন আক্রম
তবে স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকারের গলায় এদিন আক্ষেপ ঝরে পড়ল। হিমা দাস কিংবা দ্যুতি চাঁদরা এশিয়ান গেমস কিংবা কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতে ফিরলে তাদের সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে বিরাট পরিমান আর্থিক সাহায্য পান। দেশের অন্যান্য রাজ্যে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ বরাদ্দ থাকে পদকজয়ী অ্যাথলিটদের জন্য। কিন্তু সেখানে এ রাজ্যে তেমন কোনও উদ্যোগ নেই। সেই হতাশাও ঝরে পড়ল সুভাষবাবুর গলায়।