বিসিসিআই-কে মিতালির পত্রবোমা, “কোচের কাছেই হেনস্থা”! উঠল পক্ষপাতেরও অভিযোগ
“আমার জীবনের ২০ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি। নিজেকে খুব হতাশ লাগছে। দলে আমার ভ্যালু কি, পুনরায় ভাবতে হচ্ছে আমাকে"...
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে সত্যিটা জানা গেল। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ড্রেসিং রুমে যে সুনামি চলেছে, তা এবার সর্ব সমক্ষে এল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইনফর্ম মিতালি রাজকে বসানোর সিদ্ধান্ত আসলে কার ছিল? হরমনপ্রীত কউরের? হ্যাঁ, অধিনায়ক হিসেবে তাঁর মত তো অবশ্যই শিরোধার্য। তবে এই চক্রান্তের আসল পাণ্ডা ছিলেন রমেশ পাওয়ার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক রান করা ভারতীয় ক্রিকেটারের দাবি তাই।
আরও পড়ুন- মেরির সাফল্য অনুপ্রেরনা জোগায়, তবে স্বপ্নার আদর্শ স্বপ্না নিজেই
সোমবার বিসিসিআই-কে এই মর্মে একটি চিঠি দিয়েছেন মিতালি। দেখা করেছেন বোর্ড কর্তাদের সঙ্গেও। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়েই বোর্ডের সামনে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কঙ্কালসার চেহারাটা তুলে ধরেছেন মিতালি। ওই চিঠিতে মূলত ভারতীয় মহিলা দলের কোচ রমেশ পাওয়ারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর নিশানায় রয়েছেন কাউন্সিল অব অ্যাডমিনিসট্রেশনের সদস্য ডায়না ইদুলজি। কোচ রমেশ পাওয়ার তাঁকে হেনস্থা করেছেন। আর সব জেনে শুনেও কোচের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন ইদুলজি। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ মিতালি রাজের।
(কোচ রমেশ পাওয়ারের সঙ্গে মিতালি রাজ)
বিসিসিআই-কে দেওয়া চিঠি-তে মিতালি দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমার জীবনের ২০ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি। নিজেকে খুব হতাশ লাগছে। দলে আমার ভ্যালু কি, পুনরায় ভাবতে হচ্ছে আমাকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিছু মানুষ আমাকে ধ্বংস করতে চাইছে। আমার আত্মবিশ্বাস তলানিতে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছে ”।
আরও পড়ুন- “ওয়াঘা সীমান্তে ধোনিকে খুঁজে পেয়েছি”, মুশারাফকে বলেছিলেন সৌরভ
Always reposed faith in Diana Edulji and have always respected her and her position as a member of COA, Never did I think she will use her position against me, more after hearing what I had to go through in Caribbean as I had spoken to her about it:Mithali Raj to BCCI (file pic) pic.twitter.com/zJMGvys8mR
— ANI (@ANI) November 27, 2018
সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘটে চলা অবিশ্বাস্য রকম কিছু ঘটনার কথাও তুলে ধরেছেন মিতালি। ভারত জিতছে। অপরাজিত থেকেই শেষ চারের জায়গা পাকা করেছে। বাইরে থেকেই এই ছবিই দেখেছি আমরা। তবে ভিতরে ঘটে গেছে এমন আরও অনেক কিছু, যা আঁচও করা যায়নি। শুধু সেমিফাইনালেই নয় মিতালিকে আগে থেকেই বসিয়ে রাখার পরিকল্পনা না কি ছিল কোচ রমেশ পাওয়ারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছনর পর থেকেই দ্বন্দের শুরু। মিতালির অভিযোগ, “কোচের এমন হাবভাব ছিল, যেন আমি দলেই নেই”। এরপরের ঘটনা প্রবাহ আমাদের সবার জানা। প্রথমে ওপেনিং থেকে সরানো হয় মিতালিকে। তারপর প্রথম একাদশ থেকে বাদ। আর তারপর প্রতিযোগিতা থেকেই সরে যেতে বাধ্য হয় ভারতীয় দল। যে দল অপরাজেয় হয়ে শেষ চারে এল, তাঁরা কি না সেমিতে দাঁড়াতেই পারল না।
এসবের পরও হরমনপ্রীত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মিতালিকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত দলের মঙ্গলের জন্যই নেওয়া হয়েছিল। মিতালিকে ছাড়া দল হারলেও তাঁর কোনও অনুশোচনাই নেই। এরপর হরমনপ্রীতকে মিথ্যাবাদী বলে তোপ দাগেন মিতালি রাজের ম্যানেজার অনীষা গুপ্তা। এবার এই বিতর্কে সোজা ব্যাট করতে নামলেন খোদ মিতালি। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে আরও জলঘোলা হবে বলেই মত ওয়াকিফহাল মহলের।