মোহনবাগান, কোচবদল আর কিছু প্রশ্ন

সন্তোষ কাশ্যপ ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়ালেন। কোচ সরে দাঁড়ালেই কি ঘুরে দাঁড়াবে মোহনবাগান? বারবার দল গঠনের ব্যর্থতাকে দূরে সরিয়ে কোচ বদল করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন মোহনবাগান কর্তারা। গত দুই মরসুমে মোট পাঁচবার কোচ বদল করেছে সবুজ মেরুন।

Updated By: Oct 13, 2012, 06:50 PM IST

সন্তোষ কাশ্যপ ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়ালেন। কোচ সরে দাঁড়ালেই কি ঘুরে দাঁড়াবে মোহনবাগান? বারবার দল গঠনের ব্যর্থতাকে দূরে সরিয়ে কোচ বদল করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন মোহনবাগান কর্তারা। গত দুই মরসুমে মোট পাঁচবার কোচ বদল করেছে সবুজ মেরুন।   ২০১০ মুরিতালা-চিডি-ব্যারেটো কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্ট্যানলি রোজারিওকে। ফেডারেশন কাপে ব্যর্থতার পর স্ট্যানলিকে সরিয়ে টিডির দায়িত্ব দেওয়া হয় সুভাষ ভৌমিককে। কোচ হন সুজিত চক্রবর্তী।   ২০১১ তে সুভাষ-সুজিতকে সরিয়ে জামাই আদর করে কোচ করা হয় স্টিভ ডার্বিকে। কিন্তু সেই ফেডারেশন কাপে ব্যর্থতার পর সরানো হয় ডার্বিকেও। দায়িত্ব দেওয়া হয় টিডি সুব্রত ভট্টাচার্য ও কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে।   ২০১২ অজ্ঞাতকারনে সুব্রত-প্রশান্ত জুটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় সেভাবে কোনও সাফল্য না থাকা সন্তোষ কাশ্যপকে। অবশেষে সেই ফেডারেশন কাপেই ব্যর্থতার জন্য কার্যত চাপ দিয়ে কাশ্যপকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করানো হল।   পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবারই নতুন কোচ নিয়ে এসে, ফেডারেশন কপে ব্যর্থতার পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া রেওয়াজ শুরু হয়েছে মোহনবাগানে। যার ফল দুই মরসুম ট্রফিহীন।   টানা ব্যর্থতার জের। অবশেষে চাপে পড়ে শনিবার পদত্যাগপত্র জমা দিতে বাধ্য হলেন মোহনবাগান কোচ সন্তোষ কাশ্যপ। টোলগে-ওডাফাকে নিয়ে চলা পালতোলা নৌকার কান্ডারি হওয়া যে সন্তোষ কাশ্যপের পক্ষে সম্ভব নয়,তা মরসুমের শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু বুঝতে পারেননি কর্মকর্তারা। এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্বে থাকা সন্তোষকে জামাই আদর করে এনে কেন আরও এক মরসুম ব্যর্থতার মুখে দলকে ঠেলে দিলেন কর্তারা? আর বেরিয়ে এসেছে সন্তোষে অসন্তোষের মূল কারনগুলি।   সন্তোষ কাশ্যপের ব্যর্থতা। অ-সন্তোষের সাতকাহন।   এক, কোচ হিসেবে মোহনবাগানে চূড়ান্ত ব্যর্থ। ফেডকাপে ব্যর্থ। পাঁচটি ম্যাচে তিনটিতেই হেরেছে দল। একটিতে ড্র ও একটিতে জয়।   দুই, প্রতিটি ম্যাচের প্রথম একাদশ নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোচ। ভুল শোধরাবার কোনও চেষ্টাই করেননি।   তিন, দুর্বল ম্যাচ রিডিং।   চার, তারকাখচিত দলের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিলনা কাশ্যপের।   পাঁচ, দলের ফুটবলারদের একাংশের মধ্যে কোচ সন্তোষকে নিয়ে ছিল প্রবল অসন্তোষ। যা বাড়ে প্রয়াগ ইউনাইটেড ম্যাচের পর।   ছয়, ফেডকাপে ওডাফা-টোলগের ঝামেলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলা।   সাত, মরসুম শুরু হতেই চোট-আঘাত। আর তাই কোচের প্রাক মরসুম প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন।    

.