Hooghly: দলেরই কর্মীর হাতে নিগ্রহের জের? অবসাদে আত্মঘাতী তৃণমূলকর্মী...

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস। ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত  মগরা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য়ও ছিলেন।  'তৃণমূল কংগ্রেসে সবই সম্ভব', কটাক্ষ রাজ্য  বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের।

Updated By: Oct 29, 2023, 06:28 PM IST
Hooghly: দলেরই কর্মীর হাতে নিগ্রহের জের? অবসাদে আত্মঘাতী  তৃণমূলকর্মী...

বিধান সরকার: তৃণমূল বনাম তৃণমূল? প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতির হাতে 'নিগ্রহে'র জেরে আত্মহত্যা করলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। পাওয়া গেল সুইসাইড নোট। ঘটনাস্থল, হুগলির মগরা।

আরও পড়ুন:  Visva Bharati | Bidyut Chakrabarty: আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

স্থানীয় সূত্রে খবর,  মৃতের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস। বাড়ি, মগরা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গজঘণ্টা এলাকায়। বরাবরই তৃণমূল করতেন তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত  মগরা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্যও ছিলেন। এদিন সকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল সেই অভিজিতের ঝুলন্ত দেহ।

কীভাবে মৃত্যু? পরিবারের লোকেদের দাবি, ঘড়িতে তখন ১০টা। নবমীর রাতে এলাকারই একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপে গিয়েছিলেন অভিজিৎ। মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলেন তিনি। তখন তাপস অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজনের বচসা হয়। স্রেফ হেনস্থা নয়, অভিজিৎকে রীতিমতো মারধর করেন তাঁরা। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। 

এদিকে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরাও তৃণমূলকর্মী। দলের হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ব্যাপারটা শুনেছি। কিন্তু পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।  মৃত্যু নিশ্চয়ই অনভিপ্রেত। উনি পঞ্চায়েতের লোক ছিলেন, পঞ্চায়েতের অধিবাসী। যাঁদের নামে অভিযোগ উঠছে, বিশেষ করে ভুটানদা আমাদের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সেলের সভাপতি আছেন। তাঁর নামে এই ধরনের অভিযোগ কোনদিন শুনিনি। কেউ যদি জড়িত থাকে এই মৃত্য়ুতে, তাহলে সাজা পাবে। দল রেয়াত করবে না'।

আরও পড়ুন: Lakshmi Puja: পাঁচ দিন ধরে লক্ষ্মীপুজো! নৌকায় করে মহানন্দা নদীতে ভাসান...

রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা, যদি এই ঘটনার সত্যতা থাকে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসে সবই সম্ভব। যে রাজ্যে যে দল গরিব প্রান্তিক মানুষের মুখে গ্রাস বিক্রি করে দেয়, এবং সেই টাকা স্বয়ং মন্ত্রী বেনামে কোম্পানি খুলে মানুষের গ্রাসাচ্ছাদনের টাকাকে ঘুরিয়ে দেয়। মিড-ডে মিলে চাল বিক্রি হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিডকালে পাঠানো সমস্ত পথ্য বিক্রি হয়ে যায়। সেটার সমর্থনে, আইনগত  স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আর একজন খাদ্যমন্ত্রী, রাস্তা নেমে মিছিল করে, সেই দলে সবই সম্ভব। অদূর ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক দল ছিল কিনা, এটা নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গবেষণা করবেন'। তদন্তে নেমেছে পুলিস।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.