জিতেন্দ্র অতীত, Asansol পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর নয়া চেয়ারম্যান অমরনাথ
স্মার্ট সিটি প্রকল্পে রয়েছে আসানসোল। কিন্তু কেন্দ্রীয় অনুদান না পাওয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রথম বেসুরো হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান করা হল অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। এই পদে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ১৬ ডিসেম্বর জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অনেক জল্পনা হয়। শেষমেশ আসানসোল পুরনিগমের বিদায়ী চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হল। বিদায়ী ডেপুটি মেয়র তাবাসসুম আরাকেও এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে গৃহীত হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির পদত্যাগ।
প্রসঙ্গত, স্মার্ট সিটি প্রকল্পে রয়েছে আসানসোল। কিন্তু কেন্দ্রীয় অনুদান না পাওয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রথম বেসুরো হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। চিঠি দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। শুরু হয়ে যায় বাকযুদ্ধ। সেই থেকে বিতর্ক ও জল্পনার সূত্রপাত। এরপর শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠকেও যোগ দেন তিনি। আর তাতেই বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দেয়। উসকে ওঠে জল্পনা।
আরও পড়ুন, সব রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ শতাংশ হারে DA
দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বলতে শোনা যায়,"এরা সব চামচা-বেলচা। এরাই দলটাকে শেষ করে দেবে। দিদি নিয়ে সমস্যা নেই। দিদি নিজে সব দেখেন না। তাঁর নীচের ধাপের লোকজন মানুষকে মানুষ মনে করেন না।" এরপরই প্রথমে আসানসোল (Asansol) পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। তারপর পদত্যাগ করেন তৃণমূলের (TMC) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ থেকেও। বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা এতে আরও প্রবল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন, নেতাজির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মিঠুন, সৌরভ
কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে আপত্তি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এরপরই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের নাটকীয় পট পরিবর্তন হয়। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকে মানভঞ্জন হয় জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari)। ওই বৈঠকের পর অরূপ বলেন,"জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। তৃণমূলেই আছেন। মমতার সৈনিক হিসেবে উনি দীর্ঘদিন লড়াই করছেন।" আর জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বলেন,"আমার আচরণে দুঃখ পেয়েছেন দিদি। দিদিকে দুঃখ দিয়ে পৃথিবীতে বাঁচতে পারব না। দলেই আছি। দল ছাড়ছি না। ইস্তফা গ্রহণ না করতে অনুরোধ করব। দিদির কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেব।" যদিও আজ তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।