Deucha Pachami: দেউচা পাচামী কয়লা-প্রকল্প, সংশয় কাটাতে আদিবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারি আধিকারিকরা
কমিটির সদস্য তন্ময় ঘোষ জানান তারা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। মাঝি হারামদের সঙ্গেও কথা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের দেউচা পাচামী কয়লা ব্লক প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সংশয় রয়েছে এলাকার আদিবাসীদের। তাঁদের আশঙ্কা, কয়লা খনি প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ভূমিপুত্রদের বিপাকে পড়তে হতে পারে। এনিয়ে গত বৃহস্পতিবার আদিবাসী নেতাদের ডাকে জমায়েত করেন বেশ কয়েকটি গ্রামের আদিবাসীরা। এবার তাঁদের সেই সংশয় দূর করতে উদ্যাগী হল রাজ্য সরকার।
কয়লা খনির কাজ, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। দেউচা পাচামীর আদিবাসী মানুষজনের ওই খনি নিয়ে সংশয় দূর করতে আজ স্থানীয় বাসিন্দা ও মাঝি হারামদের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা। এলাকা ঘুরে গিয়ে জেলা শাসকের সঙ্গেও কথা বলেন কমিটির দুই সদস্য।
দেউচা পাচামী এলাকার কয়লা শিল্পের প্যাকেজ ঘোষণার পর রাজ্য সরকার ৯ জনের একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি এলাকা ঘুরে রিপোর্ট দেবে সরকারকে। আজ কমিটির সদস্যরা ডেউচা পাচামী এলাকার হরিণশিঙা গ্রামে যান।
আরও পড়ুন-Tripura Municipal Election: ত্রিপুরার পুরভোটে তৃণমূলের উত্থান, বঙ্গ বিজেপিকে ফের কটাক্ষ তথাগত-র
কমিটির সদস্য তন্ময় ঘোষ জানান তারা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। মাঝি হারামদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। স্থানীয়দের কয়েকজন প্যাকেজ নিয়ে অখুশির কথা যে জানিয়েছেন তা কার্যত স্বীকার করেছেন তিনি। এদিন সিউড়িতে জেলাশাসকের দপ্তরে জেলাশাসক বিধান রায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও করেন তন্ময় ঘোষ ও, সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, দেউচা পাচামীর জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্য সরকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে কিছুটা অসন্তুষ্ট আদিবাসীদের একাংশ। তাদের অনেকের বক্তব্য, কোনও আলোচনা না করেই প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের স্পষ্ট ঘোষণা, সিঙ্গুরে যেভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল সেভাবে এখানে হবে না। প্রথমে আমরা নিজেদের জমি দিয়ে শুরু করব। তার পর জমি দিলে দেওয়া হবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও বাড়ি। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের ওই ঘোষণার পরও আদিবাসীদের সংশয় কাটেনি। তাই সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করল রাজ্য সরকার।