নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আজ ফের আদালতে পেশ কর্নকে, তবে এখনও ফেরার ২ দুষ্কৃতী

বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে তোলা হচ্ছিল কর্ণ বেরাকে, সঙ্গে ছিল আরও চার বিচারাধীন বন্দি। অভিযোগ, সেসময় আচমকাই বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে  জিআরও সুশান্ত রানাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে কর্ণ।

Updated By: Oct 5, 2018, 01:38 PM IST
নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আজ ফের আদালতে পেশ কর্নকে, তবে এখনও ফেরার ২ দুষ্কৃতী

নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার ফের কাঁথি আদালতে পেশ করা হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ন বেরা। এদিন তাকে ঘিরে আদালত চত্বরে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা।  বুধবারই আদালতে পেশ করার সময়ে পুলিসকে গুলি ও বোমা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কর্ন ও তার সঙ্গীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে তোলা হচ্ছিল কর্ণ বেরাকে, সঙ্গে ছিল আরও চার বিচারাধীন বন্দি। অভিযোগ, সেসময় আচমকাই বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে  জিআরও সুশান্ত রানাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে কর্ণ। এরপর বোমা ছুড়তে ছুড়তে পুলিসের হাত ফস্কে বেরিয়ে যায় সে। কিছু দূরেই দুই  যুবক বাইক নিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছিল।

ওই দুই যুবক তাকে বাইকে বসিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কাঁথি আদালত চত্বরে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে কাঁথি বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।  এর আগেও তিন বার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কর্ন। কিন্তু প্রতিবারই তা ব্যর্থ হয়।

আরও পড়ুন: ফিল্মি কায়দায় আদালত থেকে পালিয়েও পার পেল না কর্ন, ফের গ্রেফতার

কর্নকে শুক্রবার ফের আদালতে পেশ করা হয় । এদিন আদালত চত্বরে থিকথিক করছিল পুলিস। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে আদালতে পেশ করা হয়।

কাঁথির বাসিন্দা কর্ন কুখ্যাত ডাকাত।  কয়েক বছর আগে মহিষাদলে পুলিস কনস্টেবল নবকুমার মাইতিকে খুন করে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও একাধিক ডাকাতি ও খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কনস্টেবল খুনে সোনারপুর থেকে পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। তখন থেকে কাঁথি আদালতেই রয়েছে কর্ন। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার  কর্নকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও এখনও অধরা সেখ মুন্না ও সুরজিত  গুড়িয়া এখনও অধরা। তল্লাশি জারি। মুন্নাও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তিন বার পুলিসের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল মুন্না।  পুলিসের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে পালিয়েছিল সে। দুবার আদালত চত্বর থেকে পালানোর চেষ্টা করে।

কীভাবে এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা বারবার পুলিসের হাত ফস্কে পালিয়ে যাচ্ছে, কেন আদালতে পেশ করার সময়ে কড়া নজরদারি ব্যবস্থা করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

 

.