Dumdum: 'তাজমহল'কে সাক্ষী রেখে প্রেমের স্মারক ছবি! লিভ ইন পার্টনারের হাতেই খুন যুবক...

দীর্ঘ দেড় বছর ধরে দমদম মধুগড় এলাকায় সার্থক দাস তাঁর বান্ধবী সংহতি পালের সঙ্গে থাকতেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়।

সৌমেন ভট্টাচার্য: 'লিভ-ইন পার্টনার'কে খুন! দমদম মধুগড় এলাকায় খুন যুবক। বান্ধবীর হাতে খুন যুবক। নাগেরবাজার থানার পুলিস গ্রেফতার করেছে বান্ধবীকে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম স্বার্থক দাস। বয়স ৩০ বছর। পেশায় ফটোগ্রাফার 

জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে দমদমের মধুগড় এলাকায় সার্থক দাস তাঁর বান্ধবী সংহতি পালের সঙ্গে থাকতেন। তাঁরা লিভ ইন করতেন বলে জানা গিয়েছে। পেশায় মেক-আপ আটিস্ট সংহতি পাল। ডিভোর্সের পর সংহতি পাল তাঁর সন্তানকে নিয়ে দেড় বছর ধরে পেশায় ফটোগ্রাফার স্বার্থক দাসের সঙ্গেই থাকত। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে তাদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই বুধবার ভোর রাতে সংহতি পাল সার্থক দাসকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।

পুলিস সূত্রে খবর, খুনের পর সংহতি পাল নিজেই থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাগের বাজার থানার পুলিস। মৃত যুবককে উদ্ধার করে সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। ওদিকে অভিযুক্ত সংহতি পালকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আগামিকাল তাকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। এদিকে, মৃত যুবক ২০ ঘণ্টা আগেও তাঁর চর্চিত প্রেমিকা সংহতি পালের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।ছবি পোস্ট করে সার্থক দাস ক্যাপশনে লিখেছিলেন, 'ফ্যামিলি'। সঙ্গে জুড়ে দেন হার্ট ইমোজি।

শুধু তাই নয়, ৬ দিন আগে নিজের প্রোফাইল পিকচারও বদলান সার্থক দাস। 'তাজমহল'কে সাক্ষী রেখে তোলা সংহতি পালের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন তিনি। তাঁর ক্যাপশনে লেখেন, 'লাইফলাইন'। মৃতের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে এটাও জানা যাচ্ছে যে, সম্প্রতি তাঁর মাতৃবিয়োগ হয়। একদিন আগেই মা-কে নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন সার্থক দাস। মায়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, 'ভালো থেকো মা।'  সার্থক দাসের বাড়ি নলিন সরকার স্ট্রিটে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।