১১টি প্রশ্নের 'ভুল'কে স্বীকৃতি, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশ্নের মুখে ২০১৪-র প্রাইমারি টেট

২৬ জুলাই থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং শুরু করেছে এসএসসি। ২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং।

Updated By: Jul 27, 2018, 01:03 PM IST
১১টি প্রশ্নের 'ভুল'কে স্বীকৃতি, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশ্নের মুখে ২০১৪-র প্রাইমারি টেট

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের টেট নিয়ে বড়সড় জটিলতার আশঙ্কা। ২০১৪ সালে যে প্রাইমারির টেট হয়, এদিন হাইকোর্টের নির্দেশে আঁতসকাঁচের তলায় চলে এল সেই পরীক্ষা। ২০১৪-র পরীক্ষায় মূলত বিতর্ক ছড়ায় ১১টি প্রশ্নকে ঘিরে। সেই বিষয়ে ১৯ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। তারপরই নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।

২০১৪ সালে প্রাইমারি টেটে প্রশ্নপত্রে ১১টি প্রশ্নকে ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, ওই ১১টি প্রশ্নের উত্তর হিসেবে যে ৪টি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল। তার সবকটি-ই ছিল ভুল। উল্লেখ্য, টেট হয় এমসিকিউ ধাঁচের। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্য ৪টি বিকল্প দেওয়া হয়ে থাকে। যার মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি পরীক্ষার্থীদের বেছে নিতে হয়। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৪-র প্রাইমারি টেটে ১১টি প্রশ্নের ক্ষেত্রে সব উত্তরই ছিল ভুল। যার কোনও সংশোধনও করা হয়নি।

সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরই এই ইস্যুতে মামলা দায়ের করেন ১০০ জন পরীক্ষার্থী। এই পরীক্ষার্থীদের সবাই ২০১৪ প্রাইমারি টেটে অকৃতকার্য হয়েছিলেন। প্রশ্নপত্র যাচাইয়ের দাবি তোলেন তাঁরা। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্পগুলো ঠিক কী ভুল তা বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেনকে খতিয়ে দেখতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন, স্বামীর সঙ্গে থাকেন না মহিলা, 'সুযোগ নিল' প্রতিবেশী যুবক, পরিণতি ভয়ঙ্কর

এদিন মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের সেই অভিযোগকেই প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে নিল হাইকোর্ট। ওই ১১টি প্রশ্নের বিকল্প নিয়ে পরীক্ষার্থীরা যে প্রশ্ন তুলেছিল, তাকেই মান্যতা দিল আদালত। এই বিষয়ে অবিলম্বে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সবুজকলি সেনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত একটি কমিটি গঠন করার জন্যও উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছে। উত্তর যাচাই করে দেখে ১৯ অগাস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই মামলায় হাইকোর্ট আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত জমা পড়েনি। এদিন সেই প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ হয় আদালত। অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। অবিলম্বে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। বেঁধে দেন সময়সীমা।

আদালতের এই নির্দেশের পরই ফের আঁতসকাঁচের তলায় চলে এল চার বছর আগের প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। মামলার রায়ের উপরই এখন নির্ভর করছে প্রাইমারি টেট-এর ভবিষ্যত।

আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গ' বদলে 'বাংলা'-তেই সর্বসম্মতিক্রমে সায় বিধানসভায়

তবে একদিকে প্রাইমারি টেট নিয়ে যখন নতুন করে জটিলতা দেখা দিল, অন্যদিকে তখন বৃহস্পতিবার ২৬ জুলাই থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং শুরু করেছে এসএসসি। ২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং। মাঝে শনি ও রবিবার হওয়ার জন্য ২৮ ও ২৯ জুলাই কোনও কাউন্সেলিং হবে না।

.