বানারহাটে কিশোরীকে গণধর্ষণে গ্রেফতার ২, একজনের বয়স ৬২, অন্যজনের ২৬
এর পর বানারহাট হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ওষুধের দোকানে হাতুড়েকে দিয়ে তার গর্ভপাত করানো হয়। এর পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তাঁকে উত্তর বঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বানারহাট গণধর্ষণকাণ্ডে ধর্ষিতার মৃত্যুর পর দায়ের হল অভিযোগ। আর অভিযোগ দায়ের হতেই ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা ফজিরুদ্দিন মিয়া ২৬ ও আবদুল আনসারি ৬২। শুক্রবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করার কথা।
ঘটনার সূত্রপাত ৫ মাস আগে। মাঠে ছাগল চরাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় ১৬ বছরের এক কিশোরী। ধর্ষণের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। যদিও পরিবারকে কিছুই জানায়নি নির্যাতিতা। সম্প্রতি সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষায় জানা যায় গর্ভবতী হয়ে পড়েছে সে। এর পর বানারহাট হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ওষুধের দোকানে হাতুড়েকে দিয়ে তার গর্ভপাত করানো হয়। এর পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তাঁকে উত্তর বঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়।
গণধর্ষণে গর্ভবতী হওয়ার পর হাতুড়ে দিয়ে গর্ভপাত, মর্মান্তিক পরিণতি হল কিশোরীর
এর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। যে ওষুধের দোকানে গর্ভপাত হয়েছিল বৃহস্পতিবার তার সামনে বিক্ষোভ দেখান। বানারহাট থানায় দায়ের হয় গণধর্ষণের অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বানারহাটের প্রেম নগর থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি।