Mamata-র সঙ্গে বৈঠকের আগেই সিদ্ধান্ত! আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন Jitendra Tewari

'দল যদি নির্দেশ দেয়, তাহলে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে আপত্তি নেই।'

Reported By: অয়ন ঘোষাল | Updated By: Dec 17, 2020, 04:54 PM IST
Mamata-র সঙ্গে বৈঠকের আগেই সিদ্ধান্ত! আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন Jitendra Tewari

নিজস্ব প্রতিবেদন:  মুখ্যমন্ত্রীর ফোনেও বরফ গলল না! কলকাতায় বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই আসানসোলের (Asansol) পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। পদত্যাগ করলেন তৃণমূলের (TMC) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ থেকে। আর বিধায়ক পদ? জিতেন্দ্রের (Jitendra Tewri) স্পষ্ট বার্তা, দল যদি নির্দেশ দেয়, তাহলে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে আপত্তি নেই! শহরবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, 'যাঁরা আসানসোলকে ভালোবাসেন, তাঁদের পক্ষে থাকুন। অধিকারের জন্য লড়াই করুন।'

আরও পড়ুন: 'আমার জনশক্তি আছে, ওই শক্তিই আসল শক্তি' বিধায়ক পদ ছেড়ে বললেন Suvendu

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আসানসোলবাসীর সঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) চিঠি দেন পুরসভার বিদায়ী মেয়র, এখন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)।  ২০১৫ সালে দেশজুড়ে স্মার্টসিটি প্রকল্প (Smart City Project) ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই প্রকল্পে যোগ দেয়নি রাজ্য। পুরমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আসানসোলের বিদায়ী মেয়র অভিযোগ করেন, 'কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক আসানসোলকে (Asansol) স্মার্ট সিটি প্রকল্পের (Smart City Project) জন্য বেছে নেয়। আপনারা অনুমতি দিলে শহরের উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকা আসত। রাজনৈতিক কারণে সরকার ছাড়পত্র না দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও আসানসোল (Asansol) কেন্দ্রের কাছ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা পেতে পারত যা আপনারা অনুমতি দেননি বলে পাওয়া যায়নি। আসানসোলের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। স্মার্ট সিটির (Smart City Project) বদলে রাজ্য সরকার টাকা দেবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে তা দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন রাস্তা, টাউন হল সংস্কারের মতো প্রকল্পেও রাজ্য সরকার ছাড়পত্র দেয়নি।' 

এই চিঠির প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন পুর ও নগরোয়ন্নন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বলেন, 'আমরা কোনটা পারব কোনটা পারব না। সেটা আমার সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। চিঠি দেওয়া অত্যন্ত খারাপ। আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতেন।' এরপর শুরু হয় চাপানউতোর। সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tewari) সঙ্গে বৈঠক বসার কথা ছিল TMC শীর্ষ নেতৃত্বের। বৈঠকে হাজির থাকার কথা ছিল ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। কিন্তু সেই বৈঠক শেষপর্যন্ত আর হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আসরে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।  উত্তরবঙ্গ থেকে তিনি ফোন করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tewari)। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আসানসোলের বিদায়ী মেয়র। উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে শুক্রবার কলকাতায় জিতেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার আসানসোলের (Asansol) পুর প্রশাসক, এমনকী TMC-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি(jitendra Tewari)।

আরও পড়ুন: 'ভাইপোকে পিছনের সারিতে রাখতে হবে' অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সুদীপ্তর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনা

উল্লেখ্য, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যপদও ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইতিমধ্যেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। গতকাল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দুর্গাপুরের কাঁকসায় TMC সাংসদর সুনীল মণ্ডলের (Sunil Mandal) বাড়িতে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসানসোলের পুর প্রশাসক, বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার পরেই দল ও প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি।

.