Siliguri: কাঁটাতারের বেড়া ছুঁতেই ঝলসে গেল গোটা শরীর, ফাঁসিদেওয়া সীমান্তে মর্মান্তিক মৃত্যু কৃষকের

মৃতের ভাই মহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, "মাথা থেকে যখন ধোঁয়া বের হচ্ছিল তখন জওয়ানরা লাইন অফ করে। তার আগে পর্যন্ত মা পায়ে পর্যন্ত ধরেছে। কিন্তু ওরা লাইন অফ করেনি

Updated By: Oct 10, 2022, 07:25 PM IST
Siliguri: কাঁটাতারের বেড়া ছুঁতেই ঝলসে গেল গোটা শরীর, ফাঁসিদেওয়া সীমান্তে মর্মান্তিক মৃত্যু কৃষকের

নারায়ণ সিংহ রায়: সীমান্তে কাঁটাতাদের বেড়ায় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ক্ষুদিগছ এলাকার এক যুবকের। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ের কাছে বসে ঘাস কাটছিল মহম্মদ আতিবুল নামে ওই তরুণ(২৯)। বাড়িতে রয়েছেন অন্ধ বাবা, মা ও সাত বোন। কৃষিকাজ করেই সংসার চলে আতিবুলদের। প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে সীমান্তে নিজের পরিচয়পত্র জমা রেখে জমিতে কাজ করতে যায়। ঘাস কাটতে কাটতে সীমান্তের কাঁটাতারে হাত লাগতেই তড়িদাহত হয় আতিবুল। চোখের সামনে ছেলেকে ঝলসে যেতে দেখে আতিবুলের মা তাঁকে বাঁচাতে যায়। তিনিও বিদ্যুতের শক খেয়ে ছিটকে পড়েন।

আরও পড়ুন-মুছে যাবে প্রশান্ত মহাসাগর, আমেরিকা আর এশিয়া মিশে গিয়ে হবে নতুন মহাদেশ অ্যামেশিয়া!

এলাকাবাসীর অভিযোগ আতিবুলের মা সীমান্তের কর্মীদের বহুবার বলেছে বিদ্যুত্ সরবারহ বন্ধ করার জন্য কিন্তু তারা তা শোনেনি। আজ চোখের সামনে ইলেকট্রিক শকে ঝলসে গেল আতিবুল। শরীর থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার দৃশ্য দেখে টনক নড়ে সীমান্তের কর্মীদের। তখন তারা ইলেকট্রিকের লাইন অফ করে দেয়। আতিবুলকে সেখান থেকে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ার কারণে দিনেরবেলা কাঁটাতারে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না। বহু মানুষের জমি সীমান্তের মধ্যে রয়েছে। তাদের চাষ আবাদের সুবিধার জন্য দিনের বেলা বিদ্যুৎয়ের সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। সন্ধ্যের পর থেকে সংযোগ দেওয়া হয় চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য ৷ কিন্তু আজ আর তা হয়নি। ঘটনাস্থলে বিএসএফের সঙ্গে এলাকাবাসীদের ব্যাপক বচসার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস। পুলিস ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সঙ্গে বচসা বাধে এলাকাবাসীর।  

মৃতের ভাই মহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, "মাথা থেকে যখন ধোঁয়া বের হচ্ছিল তখন জওয়ানরা লাইন অফ করে। তার আগে পর্যন্ত মা পায়ে পর্যন্ত ধরেছে। কিন্তু ওরা লাইন অফ করেনি। আমাদের সকলের জমি আছে সীমান্তে। তাহলে সে জমির টাকা দিয়ে দিক বিএসএফ। আমরা আর কাজ করতে যাব না। তার সাত বোন আছে, বাবা অন্ধ, কে দেখবে তাদের?  এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এদেরই।"

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.