Jhargram: লোকসভা ভোটের আগে বিপদের মুখে তৃণমূল! ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি মুন্ডা সমাজের

Jhargram: ভারত মুন্ডা সমাজের তরফে অভিযোগ ভোট বৈতরণী পার করতে বারবারই মুন্ডাদের ব্যাবহার করা হয়েছে। মুন্ডাদের নামাঙ্কিত সভায় ডেকে তাদের গুরুত্ত্ব না দিয়ে অন্য সম্প্রদায়কে গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তাদের নামে কোনও বোর্ড গঠন হয়নি।

Updated By: Feb 27, 2024, 05:57 PM IST
Jhargram: লোকসভা ভোটের আগে বিপদের মুখে তৃণমূল! ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি মুন্ডা সমাজের

সৌরভ চৌধুরী: ভোটের আগে জঙ্গলমহলে সরকারের সঙ্গে না থাকার হুঁশিয়ারি দিল মুন্ডা সমাজ। ফলে এমনটা হলে লোকসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলে কিছুটা হলেও সমস্যার সম্মুখীন শাসক দল। ঝাড়গ্রাম লোকসভায় আদিবাসী সমাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুন্ডারা। অথচ তারা সরকারের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন কি মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ডেকেও তাদের বঞ্চনা করা হয়েছে বলে দাবি।

আরও পড়ুন-'মানুষকে বঞ্চনা করা যাবে না, নইলে অন্য দল করুন,' কড়া বার্তা মমতার!

মঙ্গলবার ভারত মুন্ডা সমাজের তরফে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা হুঁশিয়ারি দেন লোকসভা ভোটে তারা ভোটদানে বিরত থাকবেন। তাদের অভিযোগ ভোট বৈতরণী পার করতে বারবারই মুন্ডাদের ব্যাবহার করা হয়েছে। মুন্ডাদের নামাঙ্কিত সভায় ডেকে তাদের গুরুত্ত্ব না দিয়ে অন্য সম্প্রদায়কে গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তাদের নামে কোনও বোর্ড গঠন হয়নি। এমনকি নবান্নে তাদের ডেকে পাঠিয়ে শুধু মুন্ডাদেরকে আর্থিক সহায়তা থেকে বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বার বার তাদের এই ভাবে ব্যাবহার করে অবজ্ঞা করা হয়েছে। অসম্মান করা হয়েছে। শুধু মুখ্যমন্ত্রীর সভা ভরাতেই তাদের ব্যবহার করা হয়। কোনো জনপ্রতিনিধি তাদের সম্প্রদায় থেকে নেওয়া হয় না। এবার যদি তাদের কথা না ভাবা হয় তাহলে তার ভোট বয়কটের রাস্তায় যেতে বাধ্য হবেন।

সংগঠনের প্রতিনিধি নবীন চন্দ্র শি বলেন, অনেক ঘটা করে বীরসা মুন্ডার মূর্তি উদ্বোধন করা হয়েছিল। আমরা মুন্ডা সমাজের মানুষজন ওই অনুষ্ঠানে ভিড় করেছিলাম। বিভিন্ন দাবিতে আমরা বহুদিন ধরেই আন্দোলন করছি। আমাদের আশা ছিল মুন্ডারি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, মুন্ডাদের জন্য একটা মুন্ডা ডেভলপমেন্ট বোর্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। পিছিয়েপড়া বহু আধিবাসীদের জন্য উন্নয়ন বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। আমারা সেই বোর্ডের বাইরে রয়েছি। দিদির ডাকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আমরা নবান্নে গিয়েছিলাম। আমরা দেখলাম আমাদের সাঁওতাল ভাইদের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হল, কারও জন্যে ২ কোটি, কারও জন্য দের কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা কী এমন অপরাধ করেছি যে আমাদের জন্য কিছুই করা হচ্ছে না! খালি হাতে আমরা ফিরে এসেছিলাম। এখনওপর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে আমার আমাদের দাবিবাওয়া আদায়ের জন্য লড়াই করছি। যেসব জনজাতি সরকারি সাহায্যে পেয়েছে তাদের থেকে আমরা আলাদা নয়। তাহলে আমাদের এই মুন্ডা জনজাতির প্রতি অবিচার হচ্ছে না? আমাদের যে বীরষামন্ডা অ্য়াকাডেমি হয়েছে সেখানে মুন্ডা কমিউনিটির কোনও প্রতিনিধি রাখা হয়নি। দিদির সব অনুষ্ঠানে আমি মাঠ ভরিয়েছি। তার পরেও আমাদের এই দশা কেন। আমরা মুক্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেথা করতে চেয়েছি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.