স্কুল শিক্ষক থেকে জিম ট্রেনার, সবেতেই যন্ত্র! করোনার জেরে বেকারত্ব সমস্যা বাড়াচ্ছে রোবট

ভবিষ্যতে মানুষের সব কাজ করবে রোবট। বাড়বে বেকারত্বের সমস্যা। সেই পথ আরও চওড়া হল লকডাউনে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Apr 20, 2020, 08:00 PM IST
স্কুল শিক্ষক থেকে জিম ট্রেনার, সবেতেই যন্ত্র! করোনার জেরে বেকারত্ব সমস্যা বাড়াচ্ছে রোবট

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভালর জন্যই হোক বা মন্দের জন্য, ভবিষ্যতে মানুষের সব কাজ করবে রোবট। এমনটাই বলছে পরিসংখ্যান। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হল। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

অর্থনীতি কী ভাবে নিজেদের দখলে নেবে রোবটরা, সে বিষয়ে অনেক লেখা প্রকাশ করেছেন মার্টিন ফর্ড। তিনি বলেছেন, "মানুষ স্বাভাবিক ভাবে নিজেদের কাজের জন্য মানুষের সংস্পর্শ পছন্দ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে মানুষের সেই পছন্দ বদলাচ্ছে।" তিনি জানিয়েছেন করোনারড থাবায় মানুষ, মানুষের স্পর্শ এড়িয়ে স্বয়ংক্রিয় সবকিছুর দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। বড়-ছোট সব সংস্থাগুলিই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবং যাতে কম সংখ্যক কর্মী দিয়ে কাজ সারা যায়, তাই ভরসা রাখছেন রোবটে।

রোবট ব্যবহারের দরুন এই সময়ে কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণেরও কোনও সুযোগ নেই তার সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায়েরও কোনও মাথাব্যাথা নেই। সর্বোপরি কম সময়ে বেশি কাজ করা সম্ভব।

ওয়ালমার্ট, আমেরিকার সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা নিজের দোকানঘর পরিষ্কার রাখার জন্য রোবট ব্যবহার করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় রোবট মনুষের শরীরের উত্তাপ পরিমাপ করছে তার সঙ্গে সঙ্গে স্যানিটাইজার বিতরণ করছে। যা দেখে হলফ করে বলাই যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক রোবট এইসব কাজে নিযুক্ত হবে। ২০২১ সালের মধ্যেই সারা বিশ্বে রোবটের প্রয়োজনীয়তা একটি বড় জায়গায় যেতে পারে।

ইউভিডি রোবট নির্মাতা সংস্থা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালে নিজেদের রোবট পাঠাচ্ছে। এই রোবটই করবে এইসব জায়গা পরিষ্কারের কাজ। বিক্রেতার কথা অনুযায়ী, ক্রেতারা এখন আরও বেশই স্বাস্থ্য সচেতণ হয়েছেন। মানুষ মারফৎ ছড়াতে পারে যেকোনও তাই রোবটেই ভরসা।

আরও পড়ুন: জরুরি দরকারে বাইরে বেরতেই হবে! জেনে নিন কী ভাবে পাবেন লকডাউনের জরুরি পাস

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কিংবা রেষ্টুরেন্ট সব জায়গাই দখল করে বসে আছে রোবটের দল। ম্যাকডোনাল্ডে ওয়েটার ও সার্ভারের কাজ করছে রোবট। প্রত্যেকটি বড় বড় গুদাম ঘরেও কাজের জন্য মালিকদের নজর কাড়ছে রোবট। কৃত্রিম বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই স্কুল শিক্ষক বা জিম ট্রেনার হিসেবেও দেখা মিলতে পারে রোবটের। তাও কয়েক বছরের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই রোবট সোফিয়া তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলের মনে। ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী বলা হয়েছিল ২০৩০ সালের মধ্যে আমেরিকার এক তৃতীয়াংশ কর্মী রোবটের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হবে। করোনা সংক্রমণের জেরে সেই সময়টা খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসছে। এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

.