অমরত্ব দিল মৃত্যুর একদিন আগের ফেসবুক পোস্ট
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবনের বাসিন্দা হোলি, ইউইংস সারকোমা নামে এক বিরল ক্যানসারে ভুগছিলেন। তিনি জানতেন, যে কোনও সময় এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে। তাই জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত আরও বেশি করে অনুভব করছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত বাঁচা দরকার। কে জানে, কাল হোনা না হো! জীবনকে বিন্দু বিন্দুতে উপভোগ করার যে কী পরম আনন্দ, তা বুঝিয়ে দিলেন হোলি বুচার।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবনের বাসিন্দা হোলি, ইউইংস সারকোমা নামে এক বিরল ক্যানসারে ভুগছিলেন। তিনি জানতেন, যে কোনও সময় এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে। তাই জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত আরও বেশি করে অনুভব করছিলেন তিনি। সেকেন্ডের কাঁটাও যেন মন্থর হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর আগে তাঁর একটি খোলা চিঠি হোলিকে চিরন্তন করে দেয়। কিন্তু কীভাবে?
আরও পড়ুন- মাইনাস ৬২ ডিগ্রি! কলকাতার মতোই স্বাভাবিক জীবন চলছে তাদের
৪ জানুয়ারি। সকাল ৭.১৬। ফেসবুক প্রোফাইলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন ২৭ বছরের হোলি। জীবনের সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম অনুভূতিকে তুলে ধরেছেন তিনি। হোলি লেখেন, জীবনে ২৬টা বছর উপহার পেয়েছি। আমি চাই না পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু জগত এতই অনিশ্চিত যে কে কবে এখান থেকে বিদায় নেবে কারও তা জানা নেই। এমন রোমাঞ্চাকর পৃথিবীতে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করাই উচিত। আবার কখনও হোলি লিখছেন, অভিজ্ঞতার জন্য অর্থ খরচ করো। আর সেই অভিজ্ঞতাকে কখনই হাতছাড়া করো না। জেনে রেখো, প্রত্যেকটা মুহূর্তের জন্য তুমি অর্থ খরচ করছো। নিজের জীবন থেকে ছোটো ছোটো নানা উপদেশ শেয়ার করেছেন হোলি। তিনি বলেছেন প্রকৃতির সঙ্গে থেকো। মন ভরে গান শোনো। পুরনো সব সময়ই মধুর হয়। বন্ধুর সঙ্গে কথা বলো। আর শেষ কথা ছিল বাঁচার জন্য কাজ করো, শুধুমাত্র কাজ করেই বেঁচো না। এমনই আরও অনেক কথা শেয়ার করেছেন হোলি।
আরও পড়ুন- ফুগু মাছের ফাঁপড়ে জাপান, বিক্রি হওয়া বিষাক্ত মাছ হন্যে হয়ে খুঁজছে প্রশাসন
হোলির এই চিঠি এক লক্ষেরও বেশি শেয়ার হয়েছে ফেসবুকে। ৩৩ হাজারের বেশি কমেন্ট এসেছে সেই পোস্টে। আজ আর হোলি বুচার বেঁচে নেই। পোস্ট করার পরের দিনই এই পৃথিবী ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হয়। তবে তিনি কথা দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে সবার সঙ্গে...
আরও পড়ুন- হঠাত্ গাড়ি লুকিং গ্লাসে অদ্ভুত চাওনি রেড-বেলিড ব্ল্যাক সাপের...