আসুন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন। হ্যাঁ আমরাও পারি। বললেন মুখ্যমন্ত্রী-সিঙ্গাপুরে 'ব্র্যান্ড বেঙ্গল' LIVE

মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচদিনের সিঙ্গাপুর সফরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ।

Updated By: Aug 20, 2014, 11:17 AM IST
আসুন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন। হ্যাঁ আমরাও পারি। বললেন মুখ্যমন্ত্রী-সিঙ্গাপুরে 'ব্র্যান্ড বেঙ্গল' LIVE

হ্যাঁ। আমরাও পারি। সিঙ্গাপুরে শিল্প সম্মেলনে এই বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মেলনে উপস্থিত সিঙ্গাপুরের বণিকমহলের সামনে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন রাজ্যে বিনিয়োগ করার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা। তিনি বলেন, রাজ্যের শিল্পনীতি সরল, জমি নিয়ে সমস্যা নেই, বিদ্যুত্‍ সঙ্কট নেই, যোগাযোগ ব্যবস্থাও যথেষ্টই উন্নত।

রাজ্যের পর্যটন এবং রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য সিঙ্গাপুরের শিল্পমহলকে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিতে কলকাতায় বিজনেস সেন্টারের পাশাপাশি, সিঙ্গাপুরে একটি নোডাল অফিসও খুলবে রাজ্য সরকার। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের আওতায় সেই নোডাল অফিস বিনিয়োগকারীদের সবরকম সহযোগিতা করবে।  

----------------------------------------------------------------

বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়--এক নজরে দেখে নেব কী বলছেন তিনি

  • আসুন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন
  • হ্যাঁ আমরাও পারি
  • আমার সিঙ্গাপুর সফর সার্থক
  • সিঙ্গাপুরে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পোন্নয়ন নিগমের অফিস খুল। নোডাল অফিস খুলব
  • রাজ্যে জমির অভাব নেই
  • আমরা পিপিপি মডেল নিয়েছি
  • আমাদের হেলকপ্টার পরিষবা আছে
  • আমাদের এক জানলা নীতি রয়েছে
  • আমাদের রাজ্যের বৃদ্ধি জাতীয় হারের বেশি
  • কৃষি ও শিল্প জাতীয় হারের চেয়ে বেশি
  • নতুন বস্ত্রনীতি নিয়েছি আমরা।
  • আমেরিকা,ইউরোপে আমন্ত্রণ ছিল, কিন্তু সিঙ্গাপুরেই প্রথম এলাম। সময় পেলে ওখানেও যাব
  • আপনাদের আতিথিয়তায় আমি মুগ্ধ

-----------------------------------------------------------------

 

রাজ্যের জমির অভাব নেই, শ্রমিক সস্তায় মেলে।

রাজ্যে বিদ্যুত্‍ সঙ্কট নেই।

রাজ্যে শ্রম দিবস নষ্ট হয় না।

বিনিয়োগের পরিবেশ খুব ভাল।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আমরা এগিয়ে।

নতুন বস্ত্রনীতি নিয়েছি।

কলকাতাতেও বাণিজ্য কেন্দ্র খুলব।

 

''সিঙ্গাপুর খুব সুন্দর''

সিঙ্গাপুরের মানুষ খুব পরিশ্রমী ও ভদ্র, তাই এত উন্নত

সিঙ্গাপুরে এসে মনে হচ্ছে ঘরেই মতই।

পশ্চিমবঙ্গেও পরিস্থিতি বদল হচ্ছে।

পূবে তাকাও নীতি ধরলে কলকাতাই সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে নিকটতম।

সিঙ্গাপুর-কলকাতার সম্পর্ক ঐতিহাসিক।

 

''আসুন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন''

আপনাদের বলছি পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন। শিল্পের জন্য জমি চিহ্নিত রয়েছে।

রাজ্যের প্রায় সর্বত্র রেল যোগাযোগ রয়েছে। রেল মন্ত্রী থাকাকালীন সেটা করেছি।

বাম সরকারের ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে।

দার্জিলিংয়ে পর্যটনে বিনিয়োগ করুন। দার্জিলিং সুইত্‍জারল্যান্ডের মত সুন্দর

সুন্দরবনে পর্যটনে বিনিয়োগ করুন।

গভীর সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগ করুন

রাজ্যে জমির অভাব নেই। রাজ্যে শ্রমিক সস্তা

সকাল ৮টা- বক্তব্য রাখছেন উদ্যোগপতিরা।

সকাল ৭.৩০-  সাংগ্রিলা হোটেলের বল রুমে হল বাণিজ্য সম্মেলন। অংশ নিচ্ছেন দুশোরও বেশি প্রতিনিধি। সারারাত ধরে চলেছে প্রস্তুতি। দায়িত্বে ছিল জেনেসিস নামে কলকাতার একটি সংস্থা।

 

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

 মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচদিনের সিঙ্গাপুর সফরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ। আজই সিঙ্গাপুরের বণিকমহলের মুখোমুখি হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই বেশ কয়েকটি মউ স্বাক্ষরিত হতে পারে। লগ্নি টানতে ইন্ডিয়া-সিঙ্গাপুর চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে সিঙ্গাপুরের শিল্পমহলের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে রাজ্যের শিল্পপতিদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সন্তুষ্ট রাজ্যের বণিকমহল।

 সাংগ্রিলা হোটেলের বল রুমে হবে বাণিজ্য সম্মেলন। অংশ নেবেন দুশোরও বেশি প্রতিনিধি। আর সেই কারণেই প্রায় আড়াইশোজনের আয়োজন করা হয়েছে। সারারাত ধরে চলেছে প্রস্তুতি। দায়িত্বে ছিল জেনেসিস নামে কলকাতার একটি সংস্থা।

এদিকে, নভেম্বরেই চালু  হোক অন্ডালের বিমানবন্দর। এমনটাই চান তিনি। আজ সিঙ্গাপুরে শিল্পপতিদের সঙ্গে নৈশভোজের সময় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্ডালে প্রায় দুহাজার একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বিমাননগরী। তার আটান্ন শতাংশই বরাদ্দ রয়েছে বিমানবন্দর ও শিল্পের জন্য। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এরেট্রোপলিসে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের শিল্পনগরী। বিমাননগরীতে বত্রিশ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি সংস্থার।

 

আজ সিঙ্গাপুরের বণিকমহলের মুখোমুখি হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেবেন শিল্পোদ্যোগীরা। দুই পর্বের এই আলোচনায় অংশ নেবেন রাজ্যের শিল্পপতিরা। প্রথমার্থে শক্তি, পর্যটন, নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয়ার্ধে আলোচনা হবে উত্পাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, FMCG , রাসায়নিক, সিমেন্ট, বিমানবন্দর, রিয়েল এস্টেট এবং ওয়াগন নির্মাণ নিয়ে। অর্থমন্ত্রীর ভাষণ দিয়েই শুরু হবে আলোচনা।

.