তেল না কিনলে মাসুল গুনতে হবে ভারতকে, হুঁশিয়ারি ইরানের
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর পর ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সর্বদাই জল মাপছে নয়া দিল্লি
নিজস্ব প্রতিবেদন: কার্যত চাপে পড়েই ভারতকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান। ইরানের কূটনীতিক মাসাউদ রেজভানিয়ান রাহাগি জানিয়েছেন, ইরান থেকে তেল আমদানি কমালে, মাসুল গুনতে হবে ভারতকে। এমনকী চাবাহার বন্দর সম্প্রসারণের কাজ ব্যাহত হওয়ায় ভারতকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। রাহাগির স্পষ্ট বক্তব্য, ইরানকে বাদ দিয়ে সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল কিনলে, ভারতেকে যে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হত, তা বন্ধ করে দেবে ইরান।
আরও পড়ুন- বিমানবন্দর বিক্রি করতে চাইছে শ্রীলঙ্কা, ভারত কিনলে লাভ কী?
উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর পর ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সর্বদাই জল মাপছে নয়া দিল্লি। ইরানের অভিযোগ, চাবাহার বন্দরের সম্প্রসারণে বিনিয়োগের চুক্তি মানছে না ভারত। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, চাবাহার বন্দর ভারতের বাণিজ্যিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে নতুন করিডর তৈরি করতে পারবে ভারত। এমনকী পাকিস্তানের মাটি না ছুঁয়ে আফগানিস্তান এবং ইরানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য করার সুবিধা রয়েছে ভারতের।
আরও পড়ুন- শান্তি ফেরাতে ভারতকে পাশে চায় ইমরান খান
উল্লেখ্য, ২০১৬ মে-তে ইরান, আফগানিস্তানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর কেন্দ্র করে নতুন করিডর তৈরির চুক্তি হয় ভারতের। ২০১৭ এপ্রিল থেকে ২০১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ইরানের থেকে ১.৮৪ কোটি টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করে ভারত। সৌদি আরব, ইরাকের পর ইরানই ছিল ভারতের অন্যতম তেল রপ্তানিকারী দেশ। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে। না হলে ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। দু’নৌকায় পা দিয়ে কীভাবে ইরানকে সামলাবে ভারত, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- বাবার মৃত্যুর খবর শুনেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে গেলেন অজি চিকিত্সক