'মঙ্গলের মাটি'তে জন্ম নিল পোকা! চাষ-আবাদের অধ্যায় শুরু লালগ্রহে
ওয়েজার যে মাটি ব্যবহার করেছেন তাতে অবিকল মঙ্গলের মাটির উপাদানই রয়েছে। মঙ্গলের মাটি তৈরিতে তাঁকে সহযোগিতা করেছে নাসা। নেদারল্যান্ডসের ওয়েজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে এই গবেষণা চালিয়েছিলেন ওয়েজার।
সংবাদ সংস্থা: মঙ্গলের মাটিতেও প্রাণ সৃষ্টি হতে পারে। এবার হাতেনাতে প্রমাণ দিলেন বায়োলজিস্ট ডঃ ওয়েজার ওয়েমলিঙ্ক। 'মঙ্গলের মাটি'তে জন্ম নিল দু'টি পোকা, যা দেখে উচ্ছ্বসিত ওয়েজার। তিনি জানান, মঙ্গলের মাটিতে এই প্রথম প্রাণের সূচনা হল। নাসা যে ২০৩০-র মধ্যে পাকাপাকিভাবে লালগ্রহে বাস করার পরিকল্পনা করেছে, সে দিকেই দিশা দেখাচ্ছে ওই পোকাগুলি।
আরও পড়ুন- ক্যানসার কোষ ছড়িয়ে পড়া রোধে অভূতপূর্ব সাফল্য ৪ বাঙালি বিজ্ঞানীর
ওয়েজার যে মাটি ব্যবহার করেছেন তাতে অবিকল মঙ্গলের মাটির উপাদানই রয়েছে। মঙ্গলের মাটি তৈরিতে তাঁকে সহযোগিতা করেছে নাসা। নেদারল্যান্ডসের ওয়েজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে এই গবেষণা চালিয়েছিলেন ওয়েজার। তাঁর বাগান থেকে কয়েকটি পোকা এনে কৃত্রিম মঙ্গলের মাটিতে ছেড়ে দেন ডঃ ওয়েজার ওয়েমলিঙ্ক। পরে দেখা যায় সেখান থেকে নতুন দুটি পোকা জন্ম নিয়েছে। ওয়েজার জানান, কৃত্রিম এই মাটিতে মঙ্গলের মাটির সব উপাদান নেই। পের্কলরেট রাসায়নিক পদার্থ কৃত্রিম মাটিতে নেই বলে জানাচ্ছেন ওয়েজার। যদিও তিনি আশাবাদী, মঙ্গলের মাটিতে ফসল ফলানো সম্ভব হবে। মঙ্গলে মানুষ থাকার চেয়ে জীবাণুর অস্তিত্ব থাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। মাটি উর্বর করতে ব্যাকটেরিয়া, জীবাণুদের প্রয়োজন। মঙ্গলের মাটিতে কৃত্রিম উপায়ে চাষাবাদ করতে তাই এই গবেষণা নতুন মাত্রা দিল বলে জানাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরাও।
আরও পড়ুন- মুখ খুলছে আগ্নেয়গিরি, জারি চূড়ান্ত সতর্কতা, বন্ধ বিমানবন্দর