রেস করতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনা মন্দারমণি সি বিচে

পুলিসের নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, ফের রেস করতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনা মন্দারমণি সি বিচে। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন ছাত্রের। জখম পাঁচজন। প্রত্যেকেই মদ খেয়ে চূড় হয়ে ছিল। গাড়ি রেসে বহু টাকার বাজি ধরে, প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল ওই যুবকরা। অথচ সৈকতে গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ।

Updated By: Aug 21, 2016, 08:20 PM IST
রেস করতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনা মন্দারমণি সি বিচে

ওয়েব ডেস্ক: পুলিসের নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, ফের রেস করতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনা মন্দারমণি সি বিচে। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন ছাত্রের। জখম পাঁচজন। প্রত্যেকেই মদ খেয়ে চূড় হয়ে ছিল। গাড়ি রেসে বহু টাকার বাজি ধরে, প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল ওই যুবকরা। অথচ সৈকতে গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ।

তখনও সূর্য ওঠেনি। তারওপর দিন মেঘলা। ঘুম ভাঙেনি মন্দারমণির। রবিবার সাতসকালে সানাবিচে এক নিমেষে শেষ হয়ে গেল তিনটি প্রাণ।

কলকাতা থেকে একটি ফোর্ড গাড়ি করে শনিবার দিঘায় যান বৈভব রজনীশ, সূরজ দাশগুপ্ত, শিবরাজ নষ্কররা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বৈভব রজনীশ। পুলিস জানিয়েছে, সারা রাত গাড়ি চালিয়ে ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ মন্দারমণি পৌছান। একটি হোটেলে যান, কিন্তু সেই হোটেলে জায়গা না পাওয়ায়। হোটলের থেকে সমুদ্রের দিকে যান। মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে বসে মদ খায় সবাই মিলে। মদ খেতে খেতেই ঠিক হয় গাড়ির রেস দেওয়া হবে। মন্দারমণি বিচ সাড়ে ছয় কিলোমিটার। ঠিক হয় পাঁচ কিলোমিটারের রেস হবে। বহু টাকার বাজি লড়া হয়। পাঁচ কিলোমিটারের মাঝামাঝি আড়াই কিলোমিটারে একটি বোল্ডার রেখে শুরু হয় ড্র্যাগ রেস। ড্র্যাগ রেসের নিয়ম হল দুদিক থেকে মাঝের পাথরটির কাছে ছুটে আসবে দুটি গাড়ি। সংঘর্ষের মুখে পাশ কাটিয়ে বেড়িয়ে যাবে। এই রেসে তিনবার জেতে BMW। চতুর্থবার BMW নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ফোর্ড গাড়িতে। দুমড়ে মুচরে যায় দুটি গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের।

আরও পড়ুন অপরাধী ধরতে গিয়ে মার খেল পুলিস!

দুর্ঘটনার পর, গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ি কেটে মৃত তিনজনকে গাড়ি থেকে বার করা হয়। বাকি আরোহীরাও গুরুতর জখম। এঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গতবছর মে মাসে এই মন্দারমণিতে গাড়ি রেস করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। অথচ সমুদ্র সৈকতে গাড়ি চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। রয়েছে পুলিসের নজরদারিও। তবুও কী করে গাড়ি রেস? জবাব নেই। রয়েছে অজুহাত। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত হবে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ফোর্ড গাড়িতে মদের বোতল ও গাঁজা পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা

.