ভদ্রেশ্বরের ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার মহিলার

যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ভদ্রেশ্বর থানার ওসি মিঠুন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অভিযোগকারী মহিলা। বুধবার এই মর্মে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিআইজি সিআইডি।

Updated By: Apr 26, 2012, 01:49 PM IST

যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ভদ্রেশ্বর থানার ওসি মিঠুন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অভিযোগকারী মহিলা। বুধবার এই মর্মে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিআইজি সিআইডি। তিনি জানিয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওই মহিলা। তিনি বলেন, মানসিক বিপর্যয়ের ফলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। ফলে ধর্ষণ-সহ যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ওই ওসি।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ভদ্রেশ্বর থানার ওসি মিঠুন ব্যানার্জির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। বুধবার অভিযুক্ত ওসি`কে জেরার জন্য ভবানীভবনে ডেকে পাঠানো হয়। এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগের জেরে মঙ্গলবারই ক্লোজ করা হয় ভদ্রেশ্বর থানার ওসি মিঠুন ব্যানার্জিকে। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মগরা থানার প্রাক্তন ওসি অরূপ ভৌমিককে।
মঙ্গলবার ভদ্রেশ্বর থানায় যান সিআইডির স্পেশাল সুপার তমাল বসু। সেখানে ডিআইজি ও জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন সিআইডির কর্তা। সেখান থেকে অভিযোগকারী মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চুঁচুড়া মহিলা থানায় যান তদন্তকারীরা। তবে ডাক্তারি পরীক্ষায় মহিলার অভিযোগের সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন পুলিসকর্তারা। সেদিন সকালে ভদ্রেশ্বর থানার ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক মহিলা।
অভিযোগ, গত ২১ এপ্রিল ডাকাতির মামলায় জামিন পান অভিযোগকারী মহিলার স্বামী। স্বামীর ব্যাপারে কথা বলার নাম করে নিজের কোয়ার্টারে ডেকে পাঠিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন ভদ্রেশ্বর থানার ওসি মিঠুন ব্যানার্জি। চন্দননগর হাসপাতালে মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ করেন হুগলির অতিরিক্ত পুলিস সুপার অমিতাভ ভার্মা।

.