এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই

জলপাইগুড়ি: মারণ জ্বর এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু হয়েছে ১৫৫ জনের। শুধু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই মারা গিয়েছেন ১০৫ জন। মেটেনি চিকিত্সকের অভাবও।  পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে রোগীদের। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ অনুপ রায়ের সাসপেনশনের প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ দেখান হাসাপাতালের চিকিত্সক ও ছাত্রছাত্রীরা।

খিঁচুনি জ্বরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একের পর এক রোগীমৃত্যুতে ছড়াচ্ছে তীব্র আতঙ্ক। উদ্বেগে রোগীর পরিজনেরা। পরিষেবা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই এনসেফ্যালাইটিসে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের নিয়ে আতঙ্কিত অভিভাবকরা তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। টীকাকরণের জন্য শিশুদের নিয়ে আসছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বিভিন্ন বিভাগে বিপরীত ছবি। হাসপাতাল চত্বরেই তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রোগী পরিষেবা কেন্দ্র। গ্রাম থেকে আসা রোগীরা বুঝতেই পারছেন না চিকিত্সার জন্য  কোথায় যাবেন তাঁরা।

সোমবার সাসপেন্ড করা হয়  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপ রায়কে ।  এদিন ওই হাসপাতালে পোস্টার পড়ে অনুপ রায়ের সমর্থনে। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে,  কাজের মানুষ অনুপ রায়কে সরানোর  সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।  পাশাপাশি সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখান ওই হাসপাতালের  চিকিত্সকেরা।

অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এবার চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন  প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। একত্রিশ জুলাই জ্বর নিয়ে ওই হাসপাতালে  ভর্তি হন বানারহাটের বাসিন্দা উমেশ সিং। তিনি সম্পর্কে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্দীপ মাহাতোর মামা। নিউমোনিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে লেখা হয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটে। কিন্তু সন্দীপ মাহাতোর  অভিযোগ, এনসেফ্যালাইটিসেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন তিনি।

যখন তথ্য গোপন এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে  চার স্বাস্থ্যকর্তাকে সাসপেন্ড করেছে  রাজ্য, তখন ফের তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গের আরেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা অবশ্য এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুল়তে নারাজ।