নিজস্ব প্রতিবেদন : ​কোভিডের জন্য বাতিল করা হল রজীব কাপুরের চৌথা (শ্রাদ্ধের কাজ)। করোনার জেরে কেউ যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন, সেই কথা মাথায় রেখেই রাজীব কাপুরের চৌথা বাতিল করা হচ্ছে। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এমনই জানান নীতু কাপুর। রাজীব কাপুরের ছবি শেয়ার করে নীতু জানান, মহামারী যখন থাবা বসিয়েছে, সেই সময় প্রত্যেকে যাতে নিরাপদে থাকেন, সেই কথা মাথায় রেখেই শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান বাতিল করা হল। রাজীবের আত্মা যাতে শান্তি পান, তার প্রার্থনা করেন নীতু। পাশাপাশি রাজীবের মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে, রাজ কাপুরের গোটা পরিবার তা পূরণ করতে পারবে না বলেও শোক বার্তায় জানান নীতু কাপুর। 



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৯ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হন 'রাম তেরি গঙ্গা মইলি খ্যাত' অভিনেতা রাজীব কাপুর। অসুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে চেম্বুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাজীবকে। অসুস্থ হওয়ার পর অনেক চেষ্টা চালিয়েও শেষরক্ষা করা যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে প্রয়াত হন কাপুর তনয়। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর হাসপাতালে ভেঙে পড়েন রণধীর কাপুর। চিকিৎসকদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও রাজীব কাপুরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে প্রকাশ্যে কেঁদে ফেলেন রণধীর কাপুর।


আরও পড়ুন : রমরমিয়ে চলছে পর্ন র‌্যাকেট, জোর করে মডেলকে দিয়ে নগ্ন ভিডিয়ো শ্যুটের অভিযোগ


বলিউড অভিনেতার মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করেন লতা মঙ্গেশকর থেকে শুরু করে নেহা ধুপিয়া সহ একের পর এক তারকা। অভিনেতা রাজা মুরাদ বলেন, রাজীবের মৃত্যু তাঁর কাছে বড় ক্ষতি। বলিউডে সেভাবে যেমন জায়গা করতে পারেননি রাজীব, তেমনি দাম্পত্য জীবনেও সুখী ছিলেন না। একাকীত্ব গ্রাস করেছিল রাজীবকে। তা সত্ত্বেও একাকীত্বের সেই প্রভাব রাজীব কখনও তাঁর ব্যবহারে পড়তে দেননি। ফলে মৃত্যুর আগের দিন নিজের কাছের বন্ধুকে ফোন করেন রাজীব। বন্ধুদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে কথা বলার পর আচমকা কীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাজীব, তা নিয়ে এখনও ধ্বন্দে প্রয়াত অভিনেতার কাছের মানুষরা।


আরও পড়ুন : সামাজিক মাধ্যমে ছবি, নেট পাড়ার কুকথার মুখে মধুমিতা


এদিকে রাজীব কাপুরের মৃত্যুর পর নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে স্টেটাস শেয়ার করেন করিনা কাপুর খান। যেখানে রাজ কাপুরের সঙ্গে রণধীর কাপুর, হৃষি কাপুর এবং রাজীব কাপুরের ছবি দেখা যায়। কাপুর বাড়ির পুরনো ছবি শেয়ার করে 'ব্রোকেন বাট স্ট্রং' বলে ক্যাপশন জুড়তে দেখা যায় করিনাকে। যা দেখে মন খারাপ হয়ে যায় অভিনেত্রীর ভক্তদের।