Aindrila Sharma`s funeral : ঐন্দ্রিলার শেষকৃত্য সম্পন্ন, চোখের জলে মেয়েকে বিদায় দিল পরিবার
ঐন্দ্রিলার পরিবার এবং সরকারি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই এদিন শেষকৃত্য সম্পন্ন হল, পঞ্চভূতে বিলীন হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলার মা বলেন, `ও আমার পরিবারের মেরুদণ্ড ছিল। আমার বড় মেয়ে পেশায় চিকিৎসক, কিন্তু ও বড় হয়েও বোনের কাছেই সব পরামর্শ নিত। বোন এটা করব? ওটা করব? আমরা সুখীই ছিলাম,মেয়েটা অসময়ে চলে গেল, ফিরিয়ে আনতে পারলাম না আমরা। সব্য একটা কথাই বলল, কাকিমা সব অসম্পূর্ণ থাকলো না, এই অসম্পূর্ণতাই আমার কাছে অনেক...।`
Aindrila Sharma's funeral, অনসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায় : হাসপাতাল, কুঁদঘাটের বাড়ি, টেকনিশিয়ানস স্টুডিওর মতো কেওড়াতলা শ্মশানেও ঐন্দ্রিলাকে শেষবার দেখতে ভিড় করেছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার অনুরাগীরা। তবে নাহ, সেখানে তাঁদের কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও সেখানে প্রবেশ নিষেধ ছিল। তাই শ্মশানে মেইন গেটেই থমকে যেতে হল সকলকে। ভিতরে শুধু গেলেন ঐন্দ্রিলার পরিবার এবং সরকারি প্রতিনিধিরা। তাঁদের উপস্থিতিতেই এদিন শেষকৃত্য সম্পন্ন হল, পঞ্চভূতে বিলীন হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।
এদিন মেয়েকে শেষ বিদায় জানানোর সময় অঝোরে কাঁদতে থাকেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা। চোখের জলে মেয়েকে বিদায় জানান বাবা উত্তম শর্মা, সহ পরিবারের অন্যান্যরা। এদিন কাঁদতে কাঁদতে ঐন্দ্রিলার মা বলেন, 'ও আমার পরিবারের মেরুদণ্ড ছিল। আমার বড় মেয়ে পেশায় চিকিৎসক, কিন্তু ও বড় হয়েও বোনের কাছেই সব পরামর্শ নিত। বোন এটা করব? ওটা করব? আমরা সুখীই ছিলাম,মেয়েটা অসময়ে চলে গেল, ফিরিয়ে আনতে পারলাম না আমরা। সব্য একটা কথাই বলল, কাকিমা সব অসম্পূর্ণ থাকলো না, এই অসম্পূর্ণতাই আমার কাছে অনেক...।' এদিন হৃদয়ের কাছের মানুষকে চিরবিদায় জানিয়ে ছল ছল চোখে কোনও কথা না বলে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলা আজ আর তাঁর সঙ্গে নেই, তবে তাঁর জন্য রাখা ভালোবাসা বুকে করেই ফিরলেন সব্যসাচী।
আরও পড়ুন-'পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহো ভাই, সবারে আমি প্রণাম করে যাই...'
আরও পড়ুন-না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা, ফেসবুক প্রোফাইল মুছলেন শোকবিহ্বল সব্যসাচী
এদিন ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্য়ুর খবর পেতেই হাসপাতালের সামনে ভিড় করছিলেন অগণিত অনুরাগী। আর তো দেখা হবে না, তাই একটি বার, শুধু একটি বার তাঁকে দেখার আশায় ভিড় করেছিলেন ওঁরা। কেউ শেষবারের মতো তাঁকে স্পর্শ করতে চেয়েছিলেন, কেউ আবার শেষ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখলেন। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এল শববাহী গাড়ি, সেখানেই শুয়ে সকলকে বিদায় জানালেন ঐন্দ্রিলা। রবি ঠাকুরের কথাতেই যেন সবাইকে বললেন, 'পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহ ভাই / সবারে আমি প্রণাম করে যাই। ফিরায়ে দিনু দ্বারের চাবি, রাখি না আর ঘরের দাবি / সবার আজ প্রসাদবাণী চাই।' সামনে চালকের পাশে বিষণ্ণ চেহারায় বসে বন্ধু, প্রেমিক, অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। তিনি মুখ নামিয়েই বসে ছিলেন।
এদিন ঐন্দ্রিলাকে বিদায় জানাতে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধায়ক, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে প্রথমে কুঁদঘাটের ফ্ল্যাটে পরে টেকনিশিয়ানস স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয় ঐন্দ্রিলাকে। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা শ্মশানে।