Abhishek Bachchan: রাজনীতিতে অভিষেক জুনিয়র বচ্চনের? অভিনেতা নিজেই জানালেন সত্যিটা...
Abhishek Bachchan in Politics: অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের পর এবার পুত্র অভিষেক বচ্চনও রাজনীতিতে আসতে পারেন। বি-টাউনের অন্দরে কান পাতলে এমনটাই শোনা যাচ্ছে বলে খবর। রূপোলি পর্দার বাইরে এসে রাজনীতিতে যোগ দিতে চান অমিতাভ-পুত্র। এই খবরেই সরগরম ছিল নেটপাড়া। অবশেষে মুখ খুললেন অভিষেক।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘আমার মা-বাবা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, আমি কখনই এটা করব না। আমি রাজনীতিকের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি, তবে বাস্তব জীবনে কখনই নয়’। ২০১৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে এই কথাই বলেছিলেন অভিষেক বচ্চন(Abhishek Bachchan)। কিন্তু তারপর কেটেছে বেশ কিছু সময়। সময়ের সঙ্গে বদলায় মানুষের চিন্তাধারাও, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এরমাঝেই ভাইরাল হয় একটি খবর। শোনা যায়, রাজনীতিতে পা রাখছেন অমিতাভ বচ্চন(Amitabh Bachchan) ও জয়া বচ্চনের (Jaya Bachchan) পুত্র অভিষেক। সত্যিই কি তাই? নীরবতা ভাঙলেন জুনিয়র বচ্চন।
আরও পড়ুন- Dev-Rukmini: পর্দায় ধূমপানে মানা ‘ব্যোমকেশ’ দেবের, নেপথ্যের কারণ রুক্মিনী?
ভারত সমাচারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, জুনিয়র বচ্চন নাকি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-তে যোগ দিতে চলেছেন। এমনকী আগামী নির্বাচনে এলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে অভিষেকের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানো কথাও শোনা যায়। তবে অভিষেক বচ্চন বা সমাজবাদী পার্টির তরফে অফিসিয়ালি এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে অভিষেকের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার খবর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নেটপাড়ায়। এই খবর সত্যি কি না, তা জানার জন্য যদিও উদগ্রীব জুনিয়র বচ্চনের ফ্যানেরা। তাই অনুরাগীদের কথা মাথায় রেখেই মুখ খুললেন অভিষেক।
অভিষেক বলেন, ‘‘এটা একেবারে অসত্য, এমন কোনও কিছু হচ্ছে না।’’ রাজনীতিতে পা রাখার খবর কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। তিনি জানিয়ে দেন যে এই খবরটি পুরোপুরি মিথ্যে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে প্রথম সমাজবাদী পার্টি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন জয়া বচ্চন। ২০০৬-এ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যসভায় উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১২-য় তৃতীয় মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালে সপা থেকে চতুর্থবার সাংসদ নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন- Kajol: ‘দ্য ট্রায়াল’-ই প্রথম নয়, অতীতেও পর্দায় ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছেন কাজল...
অন্যদিকে ১৯৮৪ সালে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু রাজীব গান্ধীর সমর্থনে অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে রাজনীতিতে আসেন অমিতাভ বচ্চন। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবন খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়েছিল। এলাহাবাদের আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিগ-বি এবং ৬৮ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে ৮তম লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন।কিন্তু ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে বোফর্স কেলেঙ্কারিতে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় ইস্তফা দেন অমিতাভ বচ্চন। পরে বলিউড শাহেনশাকে বলতে শোনা যায়, তাঁর রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত আবেগপ্রবণ ছিল। কিন্তু যখন তিনি রাজনীতিতে নামে, তখন বুঝতে পারেন এখানে আবেগের কোনও জায়গা নেই।