গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হল ২০০০ প্যাকেট খাবার, কাজ শুরু করলেন অমিতাভ বচ্চন

বৃহস্পতিবারে মোট ২০০০টি খাবারের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

Edited By: রণিতা গোস্বামী | Updated By: Apr 10, 2020, 02:13 PM IST
গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হল ২০০০ প্যাকেট খাবার, কাজ শুরু করলেন অমিতাভ বচ্চন

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা জন্য গোটা দেশে লকডাউন।  এই পরিস্থিতিতে ১ লক্ষ শ্রমিকের পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। সেই  মতোই শুরু হল কাজ। বৃহস্পতিবার থেকেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে গরিব মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবারের প্যাকেট। বৃহস্পতিবারে মোট ২০০০টি খাবারের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

বিগ বি নিজের ব্লগে লিখেছেন,  মুম্বইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে প্রত্যেকদিন মধ্যাহ্নভোজ ও রাতের খাবার হিসাবে এই ২০০০ প্যাকেট খাবার বিলি করা হবে। পরবর্তী মাসে আরও ৩০০০ প্যাকেট করে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যা প্রায় ১২শ মানুষ সাহায্য পাবেন বলে লিখছেন বিগ বি।

আরও পড়ুন-বাড়ি থেকে উদ্ধার টেলি অভিনেত্রীর দেহ, মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, ''মুম্বইয়ে হাজি আলি দরগা, মহিম দরগা, বাবুলনাথ মন্দির, বান্দ্রার বস্তি এলাকা এবং শহরের উত্তরে আরও কিছু বস্তি এলাকায় মানুষের কাছে এই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।'' অভিনেতার কথায়, দরিদ্র মানুষের মুখে খাবরা তুলে দেওয়া তাঁর কর্তব্য। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিগ বি।

বিগ বি আরও লিখেছেন, ''লকডাউনের ফলে এখন বাইরে বের হওয়াই মুশকিল। তাই সাহায্য পৌঁছে দিতেও মুশকিল হচ্ছে। খাবারের প্যাকেট আমি তৈরি করে রেখেছি। তবে সেটা পৌঁছে দেওয়ার সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। খবর পাচ্ছি, যখন বিভিন্ন বস্তি এলাকায় খাবারের প্যাকেট পৌঁছে যাচ্ছে, তখন সেই সমস্ত মানুষ গাড়ির সামনে এসে ভিড় করছেন যাঁরা প্রায় ৩-৪দিন ধরে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তবে এক্ষেত্র পদপিষ্ট হওযার ভয় থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্বও বজায় থাকছে না। এতে হয়ত পুলিস বাধা দেবে। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করবো, সকলে যেন দূরত্ব বজায় রেখে খাবার সংগ্রহ করেন।''

আরও পড়ুন-১৫০ একর জমির উপর রয়েছে সলমনের বাগান বাড়ি, কী না নেই সেখানে! জঙ্গলের মধ্যে সলমনের বাগান বাড়িটি ঘুরে দেখা যাক...

তবে এসবের মধ্যেও স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। লিখেছেন, ''ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, কারণ এই পরিস্থিতি স্বেচ্ছাসেবীরা নিঃস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। না হলে হয়ত এই কাজ করাও সম্ভব হত না। ''

.