কসাভের মৃত্যুতে খুশির কিছু নেই: আশীষ
২৬/১১-য় মৃতদের পরিবারের কাছে এখনও দগদগে ঘায়ের মতো হয়ে রয়েছে সেদিনের স্মৃতি। ৪ বছর পর আজমল কসাভের ফাঁসির খবরে তাঁদের অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও অন্যভাবেও ভাবেন কেউ কেউ। তাঁদেরই একজন অভিনেতা আশীষ চৌধুরি।
২৬/১১-য় মৃতদের পরিবারের কাছে এখনও দগদগে ঘায়ের মতো হয়ে রয়েছে সেদিনের স্মৃতি। ৪ বছর পর আজমল কসাভের ফাঁসির খবরে তাঁদের অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও অন্যভাবেও ভাবেন কেউ কেউ। তাঁদেরই একজন অভিনেতা আশীষ চৌধুরি।
২৬/১১ মুম্বই হানায় নিজের দিদি, জামাইবাবুকে হারিয়েছিলেন আশীষ। ওবেরয় হোটেলে সেদিন নৈশভোজ সারতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখনই আচমকা হানায় বাকি ১৬৪ জন মুম্বইবাসীর সঙ্গে প্রাণ হারান তাঁরা। বুধবার সকালে কসাভের প্রাণদণ্ডের পর আশীষ টুইট করেন, "কসাভের ফাঁসির খবরে আমার খুশি হওয়ার কিছু নেই। কসাভকে ছোটবেলা থেকে `ব্রেনওয়াশ` করে আল্লাহ্র নামে খুন করতে শেখানো হয়েছে। তার মৃত্যুতে আমি খুশি হব কেন? আমি সেদিন খুশি হব যেদিন ছোট ছোট শিশুদের ভগবান ও ধর্মের নামে খুন করতে শেখানো বন্ধ হবে"।
"অজ্ঞতা ভগবানের অনেক রূপ অনেক তৈরি করেছে। আমি মনে করি ঈশ্বর একজনই। ধর্মও একটাই। সেটা হল মানবিক ধর্ম। কসাভকে সেটা কোনওদিনও শেখানো হয়নি। কসাভের জন্য আমার সহানুভুতি রয়েছে। আমার নিজের ছেলের মতো কসাভও একজন নিষ্পাপ শিশু ছিল যে ভুল মানুষদের মধ্যে জন্মেছিল। ভুল চিন্তাধারার মধ্যে বেড়ে উঠেছে। আমি কখনই আমার সন্তানদের শেখাবো না কারও মৃত্যুতে খুশি হতে। সে কসাভ হোক, বা অন্য কেউ। ওদের কখনই ধর্মান্ধ হতে শেখাবো না। কসাভের ফাঁসিতে আনন্দ পাওয়ার বা স্বস্তি অনুভব করার কোনও মানে হয় না। আমি হলফ করে বলতে পারি যেই ৪ বছর ধরে কসাভ ভারতে বন্দি ছিল, তার মধ্যে লক্ষ লক্ষ নতুন কসাভ তৈরি হয়েছে"।