Classical Music Concert: কলকাতা মজে শাস্ত্রীয় সংগীতে, তিনদিনব্যাপী `নাদ` মাতালেন বিক্রম ঘোষ...
Naad: তিন বছরে পা দিল `নাদ`। বরাবরের মতোই এই এই অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন পন্ডিত বিক্রম ঘোষ।২৯ থেকে ৩১ মার্চ এই তিনদিন ধরে জি ডি বিড়লা সভাঘরে বসেছিল `নাদ`-এর আসর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তাবড় তাবড় শিল্পীরাই এবারে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সঙ্গীতের আসর কলকাতায় নতুন নয়। কিন্তু 'নাদ' এমন এক অভিনব উচ্চমানের মনোজ্ঞ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর যেখানে শ্রোতারা বিরল যুগলবন্দির সুর-তাল-ছন্দে নিজেদের জারিয়ে নিতে পারেন। এবারেও তার অন্যথা হল না। ভারতীয় বিদ্যা ভবন এবং পন্ডিত শঙ্কর ঘোষ তবলা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত-সন্ধ্যায় বসেছিল "নাদ"-এর আসর।
আরও পড়ুন- Suchitra Sen: উত্তম কুমারের পর এবার শহরে ফিরছেন সুচিত্রা সেন...
এই অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন পন্ডিত বিক্রম ঘোষ। 'নাদ'-এর বয়স মোটে তিন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের ঐতিহ্যে নতুন পালক। কিন্তু এই তিন বছরেই কলকাতার মন জয় করে নিয়েছে এই অনুষ্ঠান। এবারে ২৯ থেকে ৩১ মার্চ এই তিনদিন ধরে জি ডি বিড়লা সভাঘরে বসেছিল 'নাদ'-এর আসর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তাবড় তাবড় শিল্পীরাই এবারে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ধ্রুপদী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে এবারে ছিল গজল, কাওয়ালি এবং ফিউশন। উস্তাদ তফিক কুরেশি এবং পন্ডিত বিক্রম ঘোষের ফিউশন-যুগলবন্দি ছিলএবারের অন্যতম আকর্ষণ।
শেষদিন এই ফিউশন-ম্যাজিকে আপ্লুত হল কলকাতা। তবলার বোল আওড়াতে আও রাতে স্টেজে উঠলেন দুই মায়েস্ত্র। চারুকেশী রাগ শোনালেন তাঁরা। 'নাদ'-এর দ্বিতীয় দিনে ছিল পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায় এবং পন্ডিত কুমার বোসের যুগলবন্দি। পূর্বায়ন চ্যাটার্জি বাজালেন রাগ পুরিয়া ধানেশ্রী (আলাপ, বিলম্বিত ও দ্রুত ত্রিতাল গত, পিলু রাগ ও তৎসহ রাগমালা)। পূর্বায়নের কথায়, "বিক্রম ঘোষের মত গুণী শিল্পী যখন এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, সেই অনুষ্ঠান একটা অন্য মাত্রা পায়। আমি এখন মুম্বই থাকি, তবে কলকাতার দর্শক সব সময় আমার কাছে স্পেশ্যাল।"
আরও পড়ুন- Kareena| Tabu| Kriti: এবার বাংলাদেশে করিনা-টাবু-কৃতির 'ক্রু', তবে ঈদে বন্ধ শো...
এই দিনেই ছিলেন পূর্বায়নের স্ত্রী বিদুষী গায়ত্রী অশোকান এবং পন্ডিত পৃথবী গন্ধর্ব-এর গজল-কাওয়ালি সন্ধ্যা। এই গজল-কাওয়ালি এবারের 'নাদ'সন্ধ্যায় নতুন সংযোজন। এছাড়া ছিল পন্ডিত রাজেন্দ্র গঙ্গাইয়ের কত্থক, পদ্মশ্রী গীতা চন্দ্রনের ভারতনাট্যম, বিদুষী অরুণা সাইরাম এবং বিক্রম ঘোষের যুগলবন্দি। বিদুষী অরুণা সাইরাম পরিবেশন করেন- রাগ গম্ভীর নাটৈ, হিন্দোলম্ রাগের আধারে সংগীত। যমুনা-কল্যাণী রাগ আধারিত জনপ্রিয় "কৃষ্ণা নি বেগানে বারো", " জাগো তুমি জাগো"।
ভারতীয় বিদ্যা ভবন-এর তরফ থেকে জি ভি সুব্রহ্মমনিয়ম এবং বিক্রম ঘোষ দুজনেই চেয়েছিলেন কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে অন্য মাত্রা আনতে। বলা বাহুল্য, কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে 'নাদ' সেই নতুন পালক। পন্ডিত বিক্রম ঘোষের কথায়, " প্রথম বছর থেকেই অভূতপূর্ব সাড়া আমরা পাচ্ছি। এবারেও সেই একইরকম সাড়া আমরা পেয়েছি। অনেক দর্শক টিকিটের অভাবে ফিরে গেছেন।" এবারেও এই অনুষ্ঠানের কোনও টিকিট মূল্য ছিল না। ধ্রুপদী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গজল,কাওয়ালি এবং ফিউশনের এক অদ্ভুদ মিশ্রনের সাক্ষী থাকল কলকাতা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)