``দিশা সালিয়ানের কেস ডিটেলস ভুলবশত ডিলিট হয়ে গিয়েছে``, বিহার পুলিসকে জানাল মুম্বই পুলিস
দিশা সালিয়ানের কেস ডিটেলস ভুল করে `ডিলিট` হয়ে গিয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করা যাচ্ছে না! বিহার পুলিসকে এমনটাই জানাল মুম্বই পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্তের মৃত্যু ঘটনায় তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশার মৃত্যুর যোগ থাকতে পারে। এমনটাই ধারনা করা হচ্ছে। এরই মাঝে জানা যাচ্ছে, দিশা সালিয়ানের কেস ডিটেলস ভুল করে 'ডিলিট' হয়ে গিয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করা যাচ্ছে না! বিহার পুলিসকে এমনটাই জানাল মুম্বই পুলিস।
দিশার মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয় মুম্বই পুলিসের কাছে জানতে মালওয়ানি থানায় হাজির হয়েছিল বিহার পুলিসের দল। মুম্বই পুলিসের এক আধিকারিক তাঁদের হাতে কেস ডিটেলস-এর ফোল্ডার শেয়ার করতে যাচ্ছিলেন। সেসময় একটি ফোন আসে। আর তারপরই সবকিছু বদলে যায়। বলা হয় দিশার কেস ডিটেলস যে ফোল্ডারে ছিল, সেটি ভুলবশত ডিলিট হয়ে গিয়েছে, উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ফোল্ডারটি উদ্ধারের জন্য বিহার পুলিসের তরফে সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাঁদের হাতে সেই ল্যাপটপ দেওয়া হয়নি। এদিকে বিহারে পুলিসের তরফে দিশা সালিয়ানের বাড়ি গেলে সেখানে তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-৫০টি সিমকার্ড বদল! একাধিক নম্বরের একটিও সুশান্তের নিজের নামে নেই, জানাল বিহার পুলিস
আরও পড়ুন-বড় স্যুটকেস নিয়ে রাতেই চলে যায় রিয়া ও তাঁর পরিবার, জানাচ্ছেন বিল্ডিংয়ের সুপারভাইজার
এদিকে পরে আবার মালওয়ানি পুলিসের তরফে জানানো হয় কোনও দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় কোনও তথ্যই ডিলিট হয়নি। সবই তাঁদের কাছে রয়েছে। এই মামলা তদন্তাধীন। তবে দিশার পরিবারের তরফে কারোর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এদিকে সুশান্ত মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই পাটনা থেকে মুম্বই এসে পৌঁছেছেন SP বিনয় তিওয়ারি। এবার এই মামলায় তিনিই বিহার পুলিসকে নেতৃত্ব দেবেন।
প্রসঙ্গত সুশান্তের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয় তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশার। গত ৮ জুন দিশা সালিয়ান আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। এদিকে তাঁর মৃত্যুর পরই নাকি সুশান্ত ভীষণভাবে ভীত হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। আর একথা সুশান্ত তাঁর দিদি মীতুকেও জানিয়েছিলেন। সুশান্তের এক পারিবারিক বন্ধু জানিয়েছেন, ''দিশার মৃত্যুর ঘটনায় ওরা আমার নাম জড়িয়ে দেবে না তো! ওরা আমাকে এবার ছাড়বে না, আমাকে তাড়া করবে'' এমনটাই নাকি বারবার দিদি মীতুকে বলছিলেন সুশান্ত। এই ওরা কারা? এর উত্তর সুশান্তের দিদির কাছেও নেই। এমনকি সুশান্ত তাঁর IPS অফিসার জামাইবাবুকেও জানিয়েছিলেন, তিনি মুম্বই ছেড়ে চলে যেতে চান।
আরও পড়ুন-''অঙ্কিতা সঙ্গে থাকলে সুশান্তের এই পরিণতি হত না'' একথা প্রসঙ্গে কী বললেন অঙ্কিতা?
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি Zee নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ পিঠানি জানিয়েছেন, ''দিশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর একপ্রকার সুশান্ত অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। আমি আর ওর দিদি ধরে বসাই এবং চোখেমুখ জল দি। ও বারবার সংবাদমাধ্যমে দিশার মৃত্যুর ঘটনায় ওর নাম জড়িয়ে কিছু লেখা হচ্ছিল কিনা দেখছিল। ও দেখেছিল সব জায়গায় খবর হয়েছে সুশান্তের ম্যানেজার আত্মহত্যা করেছে। যদিও সুশান্তের সঙ্গে দিশার মাত্র ১ বারই কথা হয়েছিল।''