Anubrata Mondal: `অনুমাধব, অনুমাধব তোমার বাড়ি যাব...`, প্যারোডিতে `কেষ্ট`কে কটাক্ষ রুদ্রনীলের
Anubrata Mondal: রুদ্রনীল আরও বলেন, `উনি দিদির কাছ থেকে রাখি পরে যেতে পারলেন না খারাপ লাগছে। জানি না, উনি আর পার্থ দা রাখি নিয়ে কী আলোচনা করবেন? খুব চিন্তা হচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের জেলে তো এত জায়গা নেই। তাই পার্শ্ববর্তী রাজ্যের জেলে য়াতে জায়গা করে দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ করব। রাখির মতো একটা দিনে এই খবর খুব একটা গৌরবের নয়। বাংলা মানুষ এখন সমবেত হয়েছে, আইন রয়েছে।`
মনোজ মণ্ডল: গোরুপাচার কাণ্ডে (Cattle/Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) জালে নিয়েছে সিবিআই (CBI)। দশবার নোটিসের পরেও বীরভূম জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি হাজিরা এড়িয়ে যান। এরপর বৃহস্পতিবার সোজা তাঁর বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তল্লাশি চালানো হয়। এরপর দেড় ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে জালে নেন তন্তকারীরা। এই খবর পৌঁছতেই বিজেপি শিবিরে উচ্ছ্বাসের সুর। রাখির অনুষ্ঠানের মাঝেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) নিয়ে প্যারোডিও বানিয়ে ফেললেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। একই সঙ্গে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের কড়া আক্রমণ করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল সীমান্তে রাখি বন্ধন উৎসবে যোগ দেন রুদ্রনীল ঘোষ। সেখানে প্যারোডি গানে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা। তিনি বলেন, "অনুমাধব, অনুমাধব তোমার বাড়ি যাব। অনুমাধব, আজ রাখিতে কি কেউ পাবো?" রুদ্রনীল আরও বলেন, "উনি দিদির কাছ থেকে রাখি পরে যেতে পারলেন না খারাপ লাগছে। জানি না, উনি আর পার্থ দা রাখি নিয়ে কী আলোচনা করবেন? খুব চিন্তা হচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের জেলে তো এত জায়গা নেই। তাই পার্শ্ববর্তী রাজ্যের জেলে যাতে জায়গা করে দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ করব। রাখির মতো একটা দিনে এই খবর খুব একটা গৌরবের নয়। বাংলা মানুষ এখন সমবেত হয়েছে, আইন রয়েছে।" শাসকদলের নেতাদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, "শাসক দলের নেতাদের যদি লজ্জা থাকে, তবে তাঁরা ডোরাকাটা পোশাক, হাওয়াই চটি পরুক, আংটি খুলে, সাবান মেখে আলিপুর জেল বা প্রেসিডেন্সি জেলে চলে যান।"
গোরুপাচার মাললায় এখন পর্যন্ত অনুব্রতকে ১০টি নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে দশম নোটিসের পরেও তিনি হাজিরা এড়ান। এরপর বোঝাই যাচ্ছিল যে কোনও বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িয়ে পৌঁছে যান সিবিআই-এর আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে পুরো বাড়ি আধাসেনা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। একই সঙ্গে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেননি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তাঁকে গ্রেফতারি পরোয়ানায় সই করতে বললেও তিনি রাজি হননি। তখনই তাঁকে আটক করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিবিআই আধিকারিকরা।